রাঙ্গুনিয়ায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে প্রবাসীর মৃত্যু

সমঝোতা বৈঠকে উত্তেজনা

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়ায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মো. সেকান্দর মামুন চৌধুরী (৪২) নামে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ইত্যাদি চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন সরফভাটা ৫ নং ওয়ার্ড মেহের বাপের বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে ৭টার পর থেকে হাসপাতালে ছয়জন রোগী আনা হয়। যাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের যখমের চিহ্ন রয়েছে। এরমধ্যে একজন মারা গেছে। আহত হয়েছেন মো. মাহাবুব (৩৮), মো. ইমরান (৩৭), মো. শুক্কুর (১৬) সহ কয়েকেজন। তাদের মধ্যে চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক মো. শাহেদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে একাধিক কুপিয়ে যখমের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান। আহতের সংখ্যা একাধিক বলে তিনি জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সিএনজিচালিত টেঙির সাথে ব্যাটারিরিকশার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে সরফভাটা মেহের বাপের বাড়ির সাথে তিন পাড়ার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। গতকাল এর সমাধান বৈঠকে দুই এলাকার লোকজন বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে এই দুই গ্রুপের মাঝে দেশীয় অস্ত্র হাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যেখানে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে। সংঘর্ষে দুই এলাকার একাধিক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। এরমধ্যে মামুন নামে এক প্রবাসী মারা যান।

এ ব্যাপার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছে। ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে তিনি জানালেও কোন গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এদিকে এক মাস আগে প্রবাস ফেরত মামুন মক্কা বিএনপির সাথেও যুক্ত ছিলেন। তার এমন মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। এছাড়া পরিবারে তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় সন্তান ছিলো মামুন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা ১০ ডিসেম্বর থেকে
পরবর্তী নিবন্ধ১৪ ওয়ার্ড সচিবকে একযোগে বদলি