চট্টগ্রাম—কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ায় সড়কের গাছ কেটে রাস্তায় ফেলে ব্যারিকেড দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পরে আটকে যাওয়া দুটির পাথর বোঝাই ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভানোর পর সড়কের গাছ সরিয়ে নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। আাজ বুধবার ভোররাত ৪ টার দিকে উপজেলার চন্দ্রঘোনা—কদমতলী ইউনিয়নের হাবিবের গোট্টা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এছাড়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের সেলিমা সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় রাত ২টার দিকে আগুন লাগিয়ে একটা মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়।
বিএনপি ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের দলের নেতা—কর্মীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন আওয়ামী নেতৃবৃন্দ। তবে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছে তাদের ফাঁসাতেই সরকার দলীয় লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের রাঙ্গুনিয়া স্টেশন কর্মকর্তা জাহেদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগে ট্রাকের আগুন নেভানো হয়। ট্রাক দুটির নাম্বার হল যথাক্রমে— খুলনা মেট্টো—শ— ১১—০৩৪৭ এবং ঢাকা মেট্টো—ট— ১২—০৮৯৫। পরে সড়ক থেকে গাছ কেটে সরিয়ে প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্ঠায় যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
সৈয়দা সেলিমা কাদের কলেজ এলাকায় মোটরসাইকেল পুড়ানোর সময় প্রত্যক্ষদর্শী মো. জয় বলেন, “আমি পাহাড়তলি থেকে মোটরসাইকেলযোগে রাঙ্গুনিয়া ফিরছিলাম। সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় এলে দেখতে পায়, কিছু দুষ্কৃতকারী একটি সিএনজি অটোরিকশা আটকিয়ে ভাংচুরের চেষ্টা করছে এবং অপর একটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এসময় একটি গুলির শব্দ শুনি এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।
যার আলামত পুলিশ জব্দ করেছে। ঘটনাস্থলে দুটি হাইস গাড়ি ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ছিলো এবং তাদের মাথায় হেলমেট পরিহিত ছিলো। আমি কোনরকম পালিয়ে শান্তিরহাট এসে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।”
অন্যদিকে ভুক্তভোগী ট্রাক চালক মো. মোস্তফা ও মো. রবিউল জানায়, তারা রাজস্থলী এলাকায় নির্মাণাধীন সীমান্ত সড়কে পাথর নিয়ে যাচ্ছিলেন। চট্টগ্রাম শহর থেকে কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার হাবিবের গোট্টা এলাকায় এলে ৪০/৫০ জন যুবক সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের গাড়ি আটকায়। পরে গাড়ি দুটির চাকায় ককটেল বিস্ফোরণ করে এবং পেট্টোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় একটি গাড়ি পুড়ে যায় এবং অপরটি ভাংচুর করা হয়। তারা ৯৯৯— এ ফোন দিলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কমীর্রা ঘটনাস্থলে এলে তারা পালিয়ে যায়।
এই ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু আহমেদ হাসনাত দাবি করেন, “আমাদেরকে মামলা দিয়ে ফাঁসাতেই সরকার দলের কর্মীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার বিএনপি নেতাকর্মীদের কেউই এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়।”
এই ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবত্তীর্ বলেন, “ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং রাঙ্গুনিয়াজুড়ে পুলিশের তৎপরাতা বাড়ানো হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”