রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ উপায়ে বালু উত্তোলন ও পাচাররোধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানকালে বালু উত্তোলনে জড়িত ৭ ব্যক্তিকে ১ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান এবং ড্রেজার, লোডার ও বাল্কহেড জব্দ করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গোলাম বেপারি হাট এলাকায় এ অভিযান পচিালিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হাসান।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বালু উত্তোলনে কর্মরত শ্রমিক জিয়াউর রহমান (৩৩), মোহাম্মদ হাসান (৩০), মো. সোহেল (২৫), ফারুক হোসেন (৪৮), ইউসুফ (২০), মো. সাদেক (২৮) ও আব্দুল আজিজ (৩০)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ উপায়ে বালু উত্তোলন ও পাচাররোধে অভিযানকালে দেখা যায়– বেপারি হাট এলাকায় নদীর কূলঘেঁষে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ উপায়ে বালু তোলা হচ্ছে। এ সময় বালু তোলার ড্রেজার, লোডার ও বাল্কহেড জব্দ করা হয় এবং ৭ জন শ্রমিককে একদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এদিকে অভিযানকালে বৈধ ইজারাদাররা নদীপাড়ে অবস্থান নেন। অভিযোগ করে তারা জানান, এক মাস ধরে ইজারা শর্ত মেনে বৈধভাবে নদীর মাঝখান থেকে তারা বালু উত্তোলন। কিন্তু গত ১৫ দিন ধরে কিছু লোক পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি কাগজ দেখিয়ে নদীর যত্রতত্র স্থান থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে নদীর দুইপাড়ের ক্ষতি হচ্ছে। দেখা দিচ্ছে ভাঙন। কোথাও আবার নেমে যাচ্ছে নদীরক্ষা বাঁধের ব্লক। এছাড়া বৈধ ইজারাদাররা তাদের বিনিয়োগ উঠাতে হিমশিম খাবে। ফলে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং নানা হানাহানির ঘটনা ঘটছে।
তারা দাবি করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগজটিও ভুয়া। যারা এরসাথে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান প্রকৃত ইজারাদাররা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে বন্ধে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।