রাঙামাটির লংগদু উপজেলার প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) দুই কর্মী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লংগদু উপজেলার বড় হাড়িকাবার ভালেদি ঘাট এলালায় এই ঘটনা ঘটেছে।
গুলিতে নিহত দুজন হলেন- নিহত ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫)।
বিদ্যাধন চাকমা উপজেলার কাট্টলী কুকিছড়া গ্রামের সময় মনি চাকমার ছেলে। ধন্য মনি চাকমা বড় হাড়িকাবার ধুধুকছড়া গ্রামের লেংগ্যা চাকমার ছেলে।
এ ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করে ইউপিডিএফ। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ দাবি করে, হামলায নেতৃত্ব দেন পোয়া চাকমা ওরফে আপন (৩২)। আপন বড় হাড়িকাবার পাশের কুট্টছড়ি গ্রামের লক্ষ্মী মনি চাকমার ছেলে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা জানান, জেলার লংগদুতে জেএসএস সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসী কর্তৃক ইউপিডিএফের এক সদস্য ও এক সমর্থককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
সকাল সাড়ে ৮টার সময় লংগদুর বড়হাড়িকাবার ভালেদি ঘাটের পার্শ্ববর্তী স্থানে সন্তু গ্রুপের ৭ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে সেখানে সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ হামলায় ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যা ধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫) নিহত হন।
বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক’ উল্লেখ করে বলেন, “ইউপিডিএফের নেতৃত্বে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যযন্ত্রসহ বান্দরবানে বম জাতিসত্তার ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সরকারের কৃপা লাভের আশায় সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হত্যাকাণ্ড শুরু করেছেন। তার নির্দেশে আজকে লংগদুতে ইউপিডিএফের এক কর্মী ও এক সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।”
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লংগদুতে সন্ত্রাসীদের গুলিত্ব দুজন নিহতের খবর পেয়েছি। ওসি ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছে। ফিরে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।