পিতা–মাতা, আত্মীয়–স্বজন ও পাড়া–প্রতিবেশীর চোখের জল আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানানো হলো ঢাকার মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে নিহত রাঙামাটির উক্যছাইং মারমাকে। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়নে পারিবারিক শ্মশানে তাকে দাহ করা হয়েছে।
এর আগে, সকাল থেকেই বাঙালহালিয়ার কিউংধং পাড়ায় চলে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন আচার ও শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। যেখানে উক্য মারমাকে শেষ বিদায় জানাতে দূর–দূরান্ত থেকে আত্মীয়–স্বজন, পাড়া–প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। স্মৃতিচারণ করে তার জন্য সকলে প্রার্থনা সভা করেন। একমাত্র সন্তানের অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন উক্যছাইং মারমার বাবা উসাইমং মারমা ও মা ডেজিপ্রু মারমা। বারবার ছেলের কথা স্মরণ করে মূর্ছা যাচ্ছিলেন মা। বিদায় বেলায় ছেলের জন্য সকলের কাছে আশীর্বাদ কামনা করেছেন তারা।
এদিকে উক্যছাইং মারমার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে মঙ্গলবার রাতে ছুটে যান রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সজীব রুদ্র। ইউএনও বলেন, এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১টার পর ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মারা যান রাঙামাটির ছেলে উক্যছাইং মারমা (১৩)। সে মাইলস্টোনের ইংলিশ মিডিয়ামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এবং মাইলস্টোনের ছাত্রাবাসেই থাকত।