রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় অজ্ঞাত পরিচয় নারীর অর্ধগলিত সেই লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাকে হত্যার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত রেহেনা পারভীন (৩৭) চট্টাগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ইছাপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর বিডিনিউজের।
কাউখালী থানার ওসি মো. শহিদ উল্লাহ জানান, লাশ উদ্ধারের পর ঘটনা তদন্তে নেমে আবুল খায়ের (৪৯) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেন তারা। গ্রেপ্তারের পর হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন তারা। খায়ের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সোনারগাঁও রাস্তার মাথা এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে। পেশায় তিনি ট্রাকচালক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে ওসি শহিদ বলেন, ‘রেহেনার সঙ্গে তার চার-পাঁচ বছরের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রেহেনার স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে তার বাসায় নিয়মিত যেতেন খায়ের। সমপ্রতি রেহেনার বাসায় অন্য পুরুষকে দেখতে পেয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত ১ জানুয়ারি রেহেনাকে ফোন করে টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেন খায়ের। তাকে ট্রাকে তুলে নেন রাঙামাটির পর্যটন রিসোর্টে যাওয়ার কথা বলে। পথে ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রাত সাড়ে ৯টায় ট্রাক থেকে নামিয়ে মাফলার দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। লাশ ট্রাকে করে নিয়ে রাত সাড়ে ১০টায় ঘাগড়া সিটি হার্ট পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ পশ্চিমে ফেলে দেন।’
ওসি বলেন, নিহত পারভীনের ছেলে মাহমুদুল হাসান রাঙামাটি সদর হাসপাতাল মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করেছেন। বায়েজিদ থানায় মামলা করেছেন মাহমুদুল। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে খায়েরকে গ্রেপ্তার করে রাতেই বায়েজিদ থানায় হস্তান্তর করেছে।