রাঙামাটিতে শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় এক নির্মাণ শ্রমিককে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সাথে তাকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ.ই.এম. ইসমাইল হোসেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর (৪) (খ) ও ১০ ধারায় এ রায় দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. আবুল হোসেন পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। সে জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা ১ নম্বর ব্লকের মো. জামালের ছেলে। বর্তমানে রাঙামাটি জেলা শহরের আলম ডকইয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর রাঙামাটি জেলা শহরের আলম ডকইয়ার্ড এলাকার একটি বাসায় বাথরুমের দরজা পরিবর্তন করতে গিয়ে মামলার বাদীর দ্বিতীয় শ্রেণী পড়ুয়া শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে আবুল হোসেন। পরে ভিকটিমের চিৎকারে মামলার বাদীর ভগ্নিপতি মাস্টার এগিয়ে এলে অভিযুক্ত মো. আবুল হোসেন পালানোর চেষ্টা করে। তখন মাস্টার তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন।
পরবর্তীতে বাদীর মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “২০২০ সালের ধর্ষণচেষ্টার একটি মামলায় এক আসামিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ২ বছর কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।”
