রাঙামাটিতে হবে বিকেএসপির আঞ্চলিক শাখা

স্পোর্টস ডেস্ক | সোমবার , ২০ অক্টোবর, ২০২৫ at ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে সফলতার ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামের খেলোয়াড়দের একটি সুনাম রয়েছে। পাহাড়ে খেলাধুলার পাশাপাশি অনেকে জাতীয় পর্যায়ে সুযোগ পেয়ে দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে। এক সময়ে পার্বত্য অঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গন থেকে উঠে আসা জাতীয় ফুটবল দলে মাঠ কাঁপানো খেলোয়াড়দের মধ্যে অরুণ দেওয়ান, বরুণ দেওয়ান ছিলেন উল্লেখযোগ্য। বর্তমান সময়ে মিতুল, নারী ফুটবলে ঋতুপর্না, রুপনা কিংবা বক্সিংয়ে সুর কৃঞ্চ চাকমাদেশের ক্রীড়াঙ্গণে আলো ছড়াচ্ছে রাঙামাটির এই কৃতী সন্তানরা। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবং পাহাড়ের দুর্গম প্রত্যন্ত এলাকা থেকে খেলোয়াড় তুলে আনতে রাঙামাটিতে তৈরী হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) আঞ্চলিক শাখা। রাঙামাটির ১০৪ নং ঝগড়াবিল এলাকার তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া এলাকায় বিকেএসপির এই আঞ্চলিক শাখা স্থাপন করতে জায়গা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন, বিকেএসপি মহাপরিচালকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্ধারিত জমি পরিদর্শন করেছেন বলে বাসসকে নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ। তিনি বাসসকে বলেন, রাঙামাটি শহরে বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। বিকেএসপির আঞ্চলিক শাখা স্থাপনের খবরে রাঙামাটি শহরের সাধারণ মানুষ ও ক্রীড়াবিদরা অত্যন্ত আনন্দিত। দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাতে বিকেএসপির এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন কাজ শুরু হয় সেজন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রাঙামাটির সকল ক্রীড়াপ্রেমী জনগণ। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে রাঙামাটি পার্বত্য এলাকা থেকে আরো ভালো মানের খেলোয়াড় সৃষ্টি হবে। দেশের সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য বরুণ দেওয়ান বাসসকে বলেন, পাহাড়ের খেলোয়াড়দের উন্নয়নে রাঙামাটিতে বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। একসময় আমরা যারা ফুটবলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম তাদের অনেক প্রতিকূল পরিবেশ পাড়ি দিয়ে খেলাধুলা করতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এক সময় রাঙামাটিতে বৃহৎ আকারে ছিল না কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কোন প্রকার সুযোগ না থাকা সত্বেও পার্বত্য জেলাগুলো থেকে উঠে এসেছে অনেক কৃতী খেলোয়াড়। তারা সকলেই দেশ ও দেশের বাইরে ক্রীড়াক্ষেত্রে ছড়িয়েছে আশার আলো। যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সুযোগ সুবিধার অভাবে হারিয়ে গেছে পাহাড়ের অনেক কৃতি খেলোয়াড়। বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রাঙামাটি সদরে স্থাপিত হলে নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসার পাশাপাশি সকল প্রতিকূলতা দূর হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখাতে আজ শ্রীলংকার সামনে বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১০.৭০ কোটি টাকা