জেলা শহরের ভেদভেদী বাজারে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সিএনজি-অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাস চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে বাস চালক নুরুল আবছারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১২টায় রাঙামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন রাঙামাটির অভিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মারুফ আহমেদ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ঘাতক বাসের ফিটনেস ছিল কিনা, এটা ব্যাপারে বিআরটিএর অভিজ্ঞদের সহায়তা নেয়া হবে। বাস চালকের কোনো ত্রুটি ছিল কিনা সেটি খতিয়ে দেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, ঘাতক বাসচালক ঘটনার পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে থাকে। সে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পূর্বকোদালার কবির আহাম্মদের ছেলে। আসামিকে গ্রেপ্তার করতে রাঙামাটি জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা, সাইবার ক্রাইম সেল ও কোতোয়ালি থানার একাধিক টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শাহনেওয়াজ রাজু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম ও কোতোয়ালি থানার ওসি আরিফুল আমিনসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা।
এর আগে, গত শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের ভেদভেদী বাজার এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসের [গাড়ি নম্বর: চট্টমেট্রো-জ ১১-০০১৮] ধাক্কায় সিএনজি-অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালকসহ আহত হন আরও চারজন।
নিহতরা হলেন- পরী চাকমা (৪৮) ও গুরিমিলে চাকমা (৫০)। আহতরা হলেন- পিন্টু চাকমা (২২), রিপন চাকমা (৪০), রিকন চাকমা (২৬) ও পরি চাকমা (৪৮)। হতাহতরা সকলেই রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের যৌথ খামার এলাকার বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অটোরিকশা চালক পিন্টু চাকমা রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকী তিনজন চিকিৎসা নিচ্ছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।