চতুর্থ ধাপে রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জামদি।
আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চিং হ্লা মং মারী স্টেডিয়াম থেকে এসব সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
এবারই প্রথমবারের মতো রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান।
নির্বাচনে লড়ছেন মেয়র পদে ৫ জন, সংরক্ষিত তিনটি নারী ওয়ার্ডে ১৯ জন এবং নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৯ জন। জয় নিয়ে সবাই আশাবাদী।
নির্বাচনে ৩১জন প্রিজাইডিং অফিসার, ২০১ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৪০২জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। ৯টি ওয়ার্ডে ৩১টি কেন্দ্রে ২০১টি ভোটকক্ষ রয়েছে।
রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৬২,৯১৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৪,২৪২ জন এবং মহিলা ভোটার ২৮,৬৭১ জন।
১৯৬৭ সালে টাউন কমিটি দিয়ে গঠিত এ পৌরসভার যাত্রা ১৯৭২ সালের ৮ মে। বর্তমানে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা এটি।
জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে। এ লক্ষ্যে যা যা করা দরকার সেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির মামুনুর রশিদ (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির প্রজেশ চাকমা (লাঙ্গল), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আবদুল মান্নান রানা (কোদাল) ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী অমর কুমার দে (মোবাইল)।
কাউন্সিলর পদে তিনটি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ প্রার্থী হলেন ছালেহা আক্তার, জয়শ্রী দে, জায়তুন নুর বেগম, জ্যোস্না বেগম ও রুপসী দাশ গুপ্ত ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ জন অন্তরা সেন, নাছিমা বেগম, নির্মলা দেওয়ান, মোর্শেদা আক্তার, রাবেয়া বেগম, রোকসানা আক্তার ও লাকী চাকমা এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ জন জুবাইতুন নাহার, পুর্ণিমা বড়ুয়া, প্রজ্ঞাজ্যোতি চাকমা, বাবলী ইয়াছমিন, মনিকা আক্তার, মুক্তা আক্তার ও সীমা দেওয়ান।
নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন হলেন মিজানুর রহমান চৌধুরী ও হেলাল উদ্দিন, ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন হলে- আবদুল মালেক, মো. করিম আাকবর, মো. মোসলেহ উদ্দিন ও রতন দেব, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন হলেন- নেওয়াজ আহমেদ, পুলক দে, বিপ্লব দাশ, বিমল বড়ুয়া ও সুশীল জীবন চাকমা, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন হলেন মো. নুরুন্নবী, মো. ওমর ফারুক আলমগীর, মো. বেলাল হোসেন ও মো. সাইফুল আলম রাশেদ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন হলেন- অজিত দাশ, আশীষ কুমার আসাম, বাচিং মারমা, মো. তোহিদুল আলম ও মো. নুরুল আবছার, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন হলেন মো. আলমগীর, মো. জালাল সিকদার, রবি মোহন চাকমা, রবীন্দ্র চাকমা ও সজীব চাকমা, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন হলেন জামাল উদ্দিন ও রবিউল আলম রবি, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন হলেন কালায়ন চাকমা, তরুণ চাকমা, নয়ন রায়, বিমল বিশ্বাস ও মির্জা মাসুদ রানা এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন হলেন চন্দ্রজিৎ দেওয়ান, বিদ্যুৎ আলো চাকমা, মো. নুরুল আলম, মো. রেজাউল করিম মিন্টু, মো. বিল্লাল হোসেন টিটু ও সন্তোষ কুমার চাকমা।
জেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে যা যা করা দরকার তার সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মোট ৩১ কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচন কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য ও টহল মোতায়েন থাকবে।”