নিম্নচাপের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও পাহাড়ি অঞ্চলে পাহাড় ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতেও শহরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহরের ভেদভেদী লোকনাথ মন্দিরসহ আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আসমা, জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. ইয়াছিন খন্দকার, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং যেকোনো দুর্যোগে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। পরে লোকনাথ মন্দির এলাকায় স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে সচেতনতামূলক সভা করেন। সভায় জেলাপ্রশাসক জানান, ২০১৭ সালের দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আমরা আগেই প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনোভাবেই যেন একটি প্রাণও না হারায়, সেটিই সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। আমরা ইতোমধ্যে জেলার দশ উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক করেছি। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পাশাপাশি এনজিওদেরও সম্পৃক্ত করা হবে। যাতে করে তাদের সহায়তাও পাওয়া যায়।
এদিকে, জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে– রাঙামাটি সদর, কাউখালী, কাপ্তাই, নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, রাজস্থলী ও লংগদু উপজেলায় পূর্বের অভিজ্ঞতা ও প্রাণহানির ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙামাটি জেলায় ভয়াবহ পাহাড় ধসে ৫ সেনাসদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এরপরের বছর ২০১৮ সালের ১২ জুন জেলার নানিয়ারচরে পাহাড় ধসে মারা যান আরও ১১ জন। এখন বর্ষা মৌসুম এলেই পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দারা আতঙ্কে থাকেন।