রাঙামাটিতে গ্রাফিতি এঁকে শহর রাঙিয়েছেন শিক্ষার্থীরা

প্রতিবাদী স্লোগানে নানা দাবির বাস্তবায়ন চান তারা

রাঙামাটি প্রতিনিধি | সোমবার , ১২ আগস্ট, ২০২৪ at ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ

সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাহাড়ের মানুষের সুখদুঃখের চিত্রগুলো দেওয়ালে গ্রাফিতি এঁকে ও নানা প্রতিবাদী স্লোগানে দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে রাঙামাটি শহরকে রাঙিয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা শহরের হ্যাপির মোড় ও বনরূপার প্রধান সড়কের পাশে বন বিভাগের দেওয়ালে এসব গ্রাফিতি ও নানা প্রতিবাদী স্লোগান লিখেছেন পাহাড়ি সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে ভিজে কেউ কেউ দেয়াল পরিষ্কার করছেন, কেউ কেউ রঙ মিশানোর কাজ করছেন। আবার অন্যদিকে, এক দল শিক্ষার্থী গিটার হাতে পাহাড়ে নানা গান গেয়ে সহপাঠীদের উৎসাহ জোগাচ্ছেন।

রাঙামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী করুণ জ্যোতি চাকমা বলেন, আমরা রাঙামাটি পাহাড়ি ছাত্র সমাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছি এবং সকলে নিজ নিজ উদ্যোগে আজকে আমরা গ্রাফিতি আঁকছি। আমাদের পাহাড়ে যে দুঃখ বেদনার কথাগুলো, সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আমাদের পাহাড় থেকে ১৯৯৬ সালে কল্পনাকে হারিয়েছি আজও তার খোঁজ পাইনি, অন্যদিকে ১৯৯৭ সালে যে শান্তি চুক্তি হয়েছে সেটাও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তাই আমাদের পাহাড় আমাদের জনভূমির দুঃখ বেদনার কথাগুলো তুলে ধরার জন্য আমরা সংগঠিত হয়েছি।

শিক্ষার্থী শিষ্ট চাকমা বলেন, আমাদের পাহাড়ে যে নানা অত্যাচার, নিপীড়ন হয় তারই প্রতিবাদের চিত্রগুলো তুলে ধরতে আজকে আমরা রাঙামাটির সাধারণ পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা এক হয়ে নিজ নিজ উদ্যোগে এই প্রতিবাদী গ্রাফিতিগুলো আঁকছি। সমতলের আমাদের শিক্ষার্থী ভাইয়েরা যেভাবে প্রতিবাদ, আন্দোলন করে সরকারকে পতন করেছে; আমরা পাহাড়ের মানুষেরা কেন প্রতিবাদ করে আমাদের দাবি আদায় করতে পারবো না।

শিক্ষার্থী ও কণ্ঠশিল্পী পলি চাকমা বলেন, পাহাড়ি ছাত্র সমাজ সমবেত হয়ে আজকে আমরা গ্রাফিতি আঁকতে এসেছি। এই গ্রাফিতিগুলোর মাধ্যমে আমরা পাহাড়ের দুঃখ, কষ্ট, বেদনাগুলো তুলে ধরবো।

একাজে প্রায় শতাধিক সাধারণ পাহাড়ি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তারা পাহাড় বসবাসরত মানুষের জীবনধারা ও পাহাড় থেকে হারিয়ে যাওয়া কল্পনা চাকমাসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ায় নানা ক্ষোভের গ্রাফিতি ও দেওয়াল লিখন লিখেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভাষা পরিষদের সভায় বক্তারা চাটগাঁ ভাষা আমাদের অহংকার
পরবর্তী নিবন্ধচবি উপাচার্য আবু তাহেরের পদত্যাগ