আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে রাঙামাটিততে ৮১ হাজার ৬৭৬ জন শিশুকে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ২শত ৫১ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ৭২ হাজার ৪শত ২৫ জন। গতকাল বুধবার সিভিল সার্জন সম্মেলন কক্ষে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশনে এতথ্য জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা, দৈনিক গিরিদর্পণ এর সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ. প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল। ওরিয়েন্টেশনে ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাপসুল সম্পর্কে অবহিত করেন সিভিল সার্জন অফিসারে মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আরিফ ফয়সাল।
ওরিয়েন্টেশনে জানানো হয়, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১ টি করে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ মাসের কম বয়সী শিশু, ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশু, ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল প্রাপ্ত শিশু এবং অসুস্থ শিশুকে ক্যাম্পেইনের দিনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না এবং শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।
ওরিয়েন্টেশনে সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে শিশুরা রোগে আক্রান্ত হয় না। তিনি আরো জানান, কেউ টিকার আওতার বাইরে থাকবে না। রাঙামাটি জেলায় মোট ১ হাজার ২শত ৭২ টি টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে ২ জন করে মোট ২ হাজার ৫শত ৪৪জন কর্মী কাজ করবে এবং প্রতিটি কেন্দ্র পরিদর্শনে একটি করে টিম থাকবে।