রাঙামাটিতে আজ থেকে ৩৬ ঘণ্টার হরতাল আহ্বান

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ‘কোটা বৈষম্য’

রাঙামাটি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২০ নভেম্বর, ২০২৫ at ৮:২২ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ‘কোটা বৈষম্যের’ অভিযোগ এনে আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে আগামীকাল শুক্রবার (২০ ও ২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকালে জেলা শহরে বনরূপায় একটি রেস্তোরাঁয় ‘কোটাবিরোধী ঐক্যজোট, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ’র ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের ঘোষণা আসে। এ সময় ঘোষণাকারীদের পক্ষে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী ইব্রাহিম রুবেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতা রাকিব হাসান, শিক্ষার্থী নুরুল আলম, রুবেল হোসেন, রেজাউল করিম রাজু, ইমাম হোছাইন প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, জেলা পরিষদে কোটা বৈষম্য বাদ দিয়ে সঠিকভাবে নিয়োগ প্রদানের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানানোর পরেও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সমাধান দেয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা হরতালের কর্মসূচি দিয়েছি। তারা আরও বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কোনো কোটার উল্লেখ নেই এবং শূন্যপদের সংখ্যাও পরিষ্কারভাবে জানানো হয়নি। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ৭ শতাংশ কোটা বিধান উপেক্ষা করে পরিষদ কর্তৃপক্ষ ৭০ শতাংশ উপজাতি ও ৩০ শতাংশ বাঙালি কোটা অনুসারে নিয়োগ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে, যা দুঃখজনক। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। কোটাপ্রথার নামে বৈষম্য আর মেধা হত্যার সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব না।

সংবাদ সম্মেলন থেকে ২০ ও ২১ নভেম্বর হরতাল চলাকালীন জেলা শহরের সকল সরকারিবেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হয়। তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, হরতাল দেওয়া হয়েছে শুনেছি। তারা তাদের কাজ করবে। আমরা আমাদের মতো কাজ চালিয়ে যাব।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের ২৫টি স্থানীয় দপ্তর এবং ৩০টি কার্যালয় পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তারমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগও রয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে অংশ নেবে প্রায় ৭ হাজার নিয়োগ পরীক্ষার্থী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রকৃত অপরাধীকে বাঁচাতে ভিন্ন দুজনের নাম
পরবর্তী নিবন্ধমিস ইউনিভার্সের মঞ্চে জামদানি ও শাপলাকে তুলে ধরলেন মিথিলা