অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে রাঙামাটিতে দুই ব্যাক্তিকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজনের মধ্যে একজন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলাধীন মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা মো. ছিদ্দিক মিয়া পোদ্দার(৫০), অপরজন কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনাস্থ নোয়াপাড়ার বাসিন্দা মংকাইনু মারমা(৩০)।
আসামী মংকাইনু মারমা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন মারমা লিবারেশন পার্টির সক্রিয় সদস্য বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
আদালত মো. ছিদ্দিক মিয়া পোদ্দারকে এক মামলায় দু’টি ধারায় ২৭ বছর এবং মংকাইনু মারমাকে ৭ বছর কারাদণ্ড প্রদান করে।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙামাটির জেলা ও দায়রা জজ নুরুল ইসলাম-এর আদালত এ রায় ঘোষণা করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাঙামাটির নানিয়ারচরের বগাছড়ি এলাকার জনৈক লাভলী আক্তারের চায়ের দোকানে অস্ত্র-গুলি ক্রয়-বিক্রয় চলছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র ও গুলি বিক্রিকালে ছিদ্দিক ও মংকাইনুকে হাতেনাতে আটক করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
রাঙামাটি আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর(পিপি) এডভোকেট রফিকুল ইসলাম বলেন, “দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে।” এই রায়ের ফলে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে বলে মনে করেন তিনি।