শ্রীলংকা হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শুভ সূচনা করার পর শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ১০ জনের দল নিয়েও ড্র করেছে বাংলাদেশ। এখন পরের ম্যাচে স্বাগতিক মালদ্বীপকে হারাতে পারলেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। তবে এই আনন্দের মাঝেও দুঃসংবাদ পেয়েছে বাংলাদেশ দল। কার্ড সমস্যার কারণে দুই নির্ভরযোগ্য ফুটবলার মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলতে পারবেনা। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের ৫২ মিনিটে লিস্টন কোলাসোকে ফাউল করায় রেফারি আলসামরানি মাজেদ সরাসরি লাল কার্ড দেখান বিশ্বনাথকে। ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। যদিও ১০ জন নিয়েও বাংলাদেশ সমতা ফেরে ভারতের বিপক্ষে। এবং এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে। বিশ্বনাথ লালকার্ড দেখে পরের ম্যাচ মিস করলেও উইঙ্গার রাকিব হোসেন পরপর দুই ম্যাচে দেখেছেন দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড। যে কারণে পরের ম্যাচে নিশ্চিতভাবে মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে রাকিবকেও। অথচ দুজনই বাংলাদেশ দলের একাদশে নির্ভরযোগ্য ফুটবলার। এনিয়ে কোচ অস্কার ব্রুজনের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়াটাও অস্বাভাবিক নয়। মালদ্বীপের ম্যাচে হয়তো রাকিবের জায়গায় একাদশে খেলতে পারেন ইব্রাহিম। আর বিশ্বনাথের পরিবর্তে রিয়াদুল হাসান রাফির সুযোগ হতে পারে। সেক্ষেত্রে রক্ষণে পজিশন নিয়েও বদল আসতে পারে। তবে যাই হোক না কেন বাংলাদেশ দল এখন আগের চেয়ে অনেক আত্মবিশ্বাসী। পৌঁছে যেতে পারে সাফের কাঙ্খিত লক্ষ্যে। সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরে শুরুটা দারুন করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে জয় আর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের সাথে ড্র। এখন আরো বড় স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। যদিও দুইজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি হয়তো কিছুটা ভাবতে হচ্ছে কোচ অস্কার ব্রুজনকে। তারপরও তিনি আশাবাদি বাকিদের নিয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে। স্বাগতিকরা বেশ ভাল দল। তারপরও বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চায়। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ড্র করাটা নিজেদের আত্নবিশ্বাস অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন কোচ। আর সে আত্নবিশ্বাসকে এখন কাজে লাগাতে চান পরের দুই ম্যাচে। যেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক মালদ্বীপ ছাড়াও নেপাল। টুর্নামেন্টে এখনো গোল পায়নি স্ট্রাইকাররা। দলের স্ট্রাইকার মতিন মিয়া বলেন আমরা চেষ্টা করছি ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার । মালদ্বীপের রক্ষণের দুর্বলতা কাজে লাগানোর প্রত্যয়ও তার কন্ঠে। তিনি বলেন ফরোয়ার্ডরা গোল করবে এটা ঠিক আছে। তারপরও আমি মনে করি যখন ১১ জন খেলবে, যে কোনো খেলোয়াড়ই গোল করতে পারে। আমরা সবাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনুশীলনেও ফিনিশিং নিয়ে কাজ হচ্ছে। ফরোয়ার্ডরা আগামী ম্যাচে গোল পাবে বলে আশাবাদী তিনি। সতীর্থ ডিফেন্ডারদের গোলদাতার ভূমিকা পালনে মতিন হতাশ নন মোটেও। বরং তপু-ইয়াসিনদের পারদর্শীতায় সাহস পাচ্ছেন আরও। ভারতের বিপক্ষে ড্রয়ে দল আরও আত্মবিশ্বাসী বলেও মনে করেন তিনি। যখন ডিফেন্সের খেলোয়াড়রা এসে গোল করে তখন ফরোয়ার্ডদের সাহস আরও বেড়ে যায়। ভালো খেলতে আরও উজ্জীবিত হয়।