বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে যাওয়ার পর থেকে চলছে সবুজ উইকেটের আলোচনা। টেস্টের ভেন্যুতে পা রাখার আগে এই বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি সফরকারীদের কেউ। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই দিন অনুশীলন করার পর উইকেট নিয়ে কথা বললেন চান্দিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশের প্রধান কোচ জানালেন, পেস সহায়ক উইকেটে নিজ দলের ফাস্ট বোলারদের দেখার অপেক্ষায় আছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল বুধবার শুরু হবে বাংলাদেশ–পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টেস্ট। ম্যাচের দুই দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে নিজ দলের বোলিং আক্রমণ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য করেন হাথুরুসিংহে। ঐতিহ্যগতভাবে রাওয়ালপিন্ডির উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হলেও, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য এবার সবুজ গালিচা তৈরি করছে পাকিস্তান। যে কারণে প্রথম ম্যাচের স্কোয়াডে কোনো স্পিনারই রাখেনি স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের স্কোয়াডেও আছে একঝাঁক পেসার। দারুণ ছন্দে থাকা শরিফুল ইসলামের সঙ্গে আছেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। দ্বিতীয় টেস্টের দলে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদের। প্রথম ম্যাচের সময় তিনি খেলবেন ‘এ‘ দলের হয়ে। পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে নিজের পেস বিভাগের লড়াই দেখার জন্য উন্মুখ হাথুরুসিংহে।
তিনি বলেন আমি খুবই রোমাঞ্চিত। পাকিস্তানিরা হয়তো খুব বেশি দেখেনি। সবশেষ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের ফাস্ট বোলাররা সহায়ক কন্ডিশনে খুব ভালো করেছে। এটি রাতারাতি হয়নি। প্রায় দুই বছর ধরে আমাদের এই ফাস্ট বোলিং গ্রুপটা একসঙ্গে আছে। পার্থক্যটা হচ্ছে অভিজ্ঞতায়। তারা একসঙ্গে হয়তো ২০টি টেস্ট খেলেনি। তাই পাকিস্তানিদের তুলনায় তারা তরুণ ফাস্ট বোলার। আমি খুবই রোমাঞ্চিত এটি দেখার জন্য যে, তারা কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন দিন অনুশীলনের পর রাওয়ালপিন্ডিতে গেছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজের ভেন্যুতে দুই দিন নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি উইকেট সম্পর্কেও ধারণা পেয়ে গেছেন হাথুরুসিংহে। তিনিও বুঝতে পারছেন, সবুজ উইকেটই অপেক্ষা করছে প্রথম টেস্টে। এ নিয়ে অবশ্য চিন্তা করছেন না বাংলাদেশের প্রধান কোচ। বরং পেসারদের পাশাপাশি স্পিন বিভাগ নিয়েও আত্মবিশ্বাসী হাথুরুসিংহে। তাই যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকার বার্তাই দিলেন তিনি।
রাওয়ালপিন্ডির উইকেট দেখে মনে হচ্ছে, তুলনামূলক পেস সহায়ক এবং ব্যাটিংয়ের জন্যও ভালো। তাদের স্কোয়াডেও দেখা যাচ্ছে, বেশি স্পিনার নেয়নি। বিষয়টা হলো সমপ্রতি আমরাও ভালো ফাস্ট বোলার তৈরি করেছি। কন্ডিশন সাহায্য করলে আমাদের যথেষ্ট ভালো ফাস্ট বোলার আছে। আমাদের দলে দুজন স্পিন অলরাউন্ডারও আছে। তারা দুজনই বিশ্বমানের। এদের একজন সাকিব আল হাসান আর অন্যজন মেহেদী হাসান মিরাজ। আমাদের সামনে যাই ছুড়ে দেওয়া হোক, সব দিক সামলানোর রসদ আছে আমাদের। আমরা প্রস্তুত। এসময় আসে সাকিবের ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গ। চোখের সমস্যার কারণে গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে ব্যাটিংয়ে ভুগছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। সবশেষ কানাডার গ্লোবাল টি–টোয়েন্টিতেও পেসারদের বিপক্ষে সাবলীল ব্যাটিং করতে পারেননি তিনি। তবে হাথুরুসিংহে জানালেন, চোখে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করিয়ে আগের চেয়ে ভালো অবস্থানেই আছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সাকিব নেটে ভালো ব্যাটিং করছে। তাকে দেখে আরও ফিট মনে হচ্ছে। আমি জানি না অনেকেই হয়তো জানে না, সে চক্ষুও পরীক্ষা করিয়েছে। সেটি তার সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করছে।