রাউজান পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগের সহসভাপতি আরিফুল হক চৌধুরীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার স্ত্রী সৈয়দা হালিমা বেগম। তিনি জানান, গত বুধবার বিকালের দিকে আরিফুল হককে অপহরণ করা হয় চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন জালালাবাদ এলাকা থেকে। যুবলীগ নেতা আরিফ রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াহেদের খীল গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।
অপহরণকারী ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার কথা জানিয়ে হালিমা বেগম বলেন, গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় আমার স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। সর্বশেষ রাত পৌনে ৯টায় আমার সাথে কথা হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে অনলাইনেও পাচ্ছিলাম না। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আমি আত্মীয়–স্বজনসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখোঁজি করে তার সন্ধান পাইনি। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে আমার স্বামীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আমার মোবাইলে একটি ফোন আসে। রিসিভ করলে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি আমার স্বামী তার পাশে আছেন জানিয়ে বলেন-‘আপনার স্বামী বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন, এখন আমার হেফাজতে আছে। তাকে পেতে হলে আমাকে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে’। আমি আমার স্বামীর সাথে কথা বলতে চাইলে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি অন্য এক নম্বরে ফোন সংযুক্ত রেখে আমাকে কথা বলিয়ে দেয়। আমি তার কথা স্পষ্ট বুঝতে পারিনি। তারা আমাকে সকাল ১১টার মধ্যে টাকা যোগাড় করার সময় দেয়। পরে এই সময় বাড়িয়ে দেয়া হয় দুপুর পর্যন্ত। হালিমা বেগম বলেন, অপহরণকারীদের ফোন পেয়ে বিচলিত হয়ে আমার আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা যোগাড় করি। পরে অপহরণকারীরা ফোন না করায় তাদের সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আমি চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করতে যাই। কিন্তু থানা থেকে মামলা না নিয়ে নিখোঁজ উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি নিয়ে আমাকে ফিরিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, কেউ নিখোঁজ হলে নিখোঁজ ডায়েরি নেয়া হয়। আমরা এই ডায়েরি নিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তির অবস্থান নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। এখন পুলিশ এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে কাজ করছে।
কোনো আপডেট আছে কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, মোবাইল ট্র্যাকিং করে দেখা যাচ্ছে ঘন ঘন স্থান বদল হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তে পুলিশ দক্ষতার সাথে কাজ করছে।