সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য রাউজানে আরো কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্থান নির্বাচনের কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সারাদেশে এক হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় রাউজানেও প্রতিষ্ঠা পাবে নতুন বিদ্যালয়।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাউজানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১৪৭টি। গত দেড় দশকে রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এই উপজেলায় আরো ৩৪টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রয়োজন রয়েছে আরো বিদ্যালয়ের।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাড়ে ছয় লাখ মানুষের এই উপজেলায় এখনো কিছু কিছু এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংকট রয়েছে। নতুন করে আরো কয়েকটি বিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই উপজেলার কোনো এলাকার শিশুরা আর শিক্ষা বঞ্চিত থাকবে না।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৮১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। পাহাড় সংলগ্ন অথবা বিচ্ছিন্ন কিছু কিছু এলাকার শিশুরা শিক্ষা বঞ্চিত থাকছে দূরত্বগত কারণে। এই উপজেলার কোনো শিশু যাতে আর শিক্ষা বঞ্চিত না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে স্থানীয় সাংসদ নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পিংক সিটি–১, দক্ষিণ রাউজানের পাহাড়তলী পিংক সিটি–২, উপজেলা নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফটিকছড়ি সীমানার দুর্গম গ্রাম, হলদিয়া–ডাবুয়ার পাহাড় পাদদেশের নন্দীরখীল ও ওহেদেরখীল গ্রাম, রয়েছে বাগোয়ান ইউনিয়নের একটি গ্রামও।