রাউজান সরকারি কলেজের দুই প্রভাষক ও এক কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে তাদের অপসারণ দাবি করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপরে কলেজ ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরও অংশ নিতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের একজন প্রভাষক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটির) একজন প্রভাষক ও একজন কম্পিউটার অপারেটর জামাত শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কলেজে কৌশলে কাজ করে আসছিলেন। তারা কলেজ লাইব্রেরিতে মওদুদীবাদ ও জামাতের প্রয়াত আমীর গোলাম আজমের বই রেখে শিক্ষার্থীদের এসব বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করে আসছিলেন। কয়েকজন নারী শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেছেন হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ওই শিক্ষক তাদের সাথে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ উক্তি করতেন। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আরমান সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সল মাহমুদ অপসারণের দাবি ওঠা তিনজনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে টাকা আদায় করার অভিযোগ করেছেন। জামাত শিবির পন্থী এই তিনজন সব সময় সরকারের নানামুখি সমালোচনায় অভ্যস্ত।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করা প্রসঙ্গে বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে কলেজ শিক্ষার্থীরা ওই তিন জনের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জামাত শিবির সম্পৃক্ততার অভিযোগ করে আসছিলেন। সর্বশেষ তারা জড়িত দুই শিক্ষক ও কম্পিউটার অপারেটরের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করতে বাধ্য হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে।
জানা যায়, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিম নেওয়াজ চৌধুরী ফোনে বিষয়টি কলেজ গভর্নিং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজকে জানালে মেয়র পারভেজ কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনেন। পরে তাদের শান্ত করে ক্যাম্পাস ত্যাগের অনুরোধ জানালে শিক্ষার্থীরা চলে যায়। এ প্রসঙ্গে মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, শিক্ষার্থীরা যেসব অভিযোগ করছেন তার সত্যতা খতিয়ে দেখা হবে। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, আমি চট্টগ্রাম আদালতে ছিলাম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে খবরাখবর নিচ্ছি। তবে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিম নেওয়াজ চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।