রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা শতভাগ বাস্তবায়ন করায় রাউজান এখন সারাদেশের মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমাদের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কার্যালয় আছে। প্রত্যেক ইউপি সদস্যের জন্য ১ হাজার বর্গফুটের স্থায়ী কার্যালয় করছি। বহুতল ভবনে প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের স্থায়ী কার্যালয় আছে। মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি। আমার মৃত্যুর পর রাউজানে কবর দেওয়া হবে এটাই চাওয়া। গতকাল সোমবার নগরের পাথরঘাটায় চট্টগ্রামস্থ রাউজান সাংবাদিক পরিষদের নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিষদের সভাপতি নওশের আলী খানের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন মোহাম্মদ আলী, মনজুর কাদের মনজু, আবু জাফর মো. হায়দার, জাকির হোসেন লুলু, খোরশেদুল আলম শামীম, আল রাহমান, নিরুপম দাশ গুপ্ত, মোহাম্মদ জহির, মোরশেদ তালুকদার, সুজন ঘোষ, মোরশেদ হোসেন চৌধুরী, রুমন ভট্টাচার্য প্রমুখ।
যোগাযোগ, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাউজানে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, রাউজানে আছে শৃঙ্খলা আর কর্তব্যনিষ্ঠা। যার যার দায়িত্ব তারাই পালন করছে। আমরা শুধু সরকারের পক্ষে মনিটরিং করছি। তিনি বলেন, আমাদের কৃষি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করছি। সবার হাতে টাকা আছে, কিন্তু কৃষি জমিতে কেউ বাড়ি বানাতে পারে না। আমাদের ৩৫ হাজার কৃষক আছে। তাদের সার, বীজ, আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা করছি। রাউজানে সরিষা ও সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হয়েছে। এজন্য তেল তৈরি করতে মেশিন দিয়েছি দুইটি। রাউজানের তরমুজ এত সুমিষ্ট যে একবার খেলে বার বার খেতে মন চায়। আমরা ২০ লাখ ফলের গাছ লাগিয়েছি। এক ঘণ্টায় লাগিয়েছি পৌনে ৫ লাখ। আগামী ১৫ জুলাই ৫ লাখ ফলের চারা লাগাব। এর মধ্যে ১ লাখ দেব ছাত্রছাত্রীদের। ৩৫ হাজার কৃষককে। বাকিগুলো তালিকা করে পুরো রাউজানে লাগানো হবে।












