রাউজান উরকিরচর ইউনিয়নের মইশকরম এলাকা থেকে আটমাস আগে মারা যাওয়া এক শিশুর লাশ কবর থেকে উঠিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল শনিবার উঠিয়ে নেয়া লাশটি এক বছর বয়সী শিশু মোহাম্মদ যোবাইয়েরের। মায়ের দায়ের করা হত্যা মামলার শুনানি শেষে আদালতের নির্দেশে লাশটি উঠানো হয় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন হোসেনের উপস্থিতিতে।
জানা যায়, গত বছর ঈদুল ফিতরের দিন শিশুটি মারা গেলে লাশ দাফন করা হয়েছিল মইশকরম ইউনুসিয়া মাদরাসার সামনের কবরস্থানে। শিশুটির মা শামশুন নাহারের অভিযোগ ছিল তার সন্তানকে হত্যা করেছেন জন্মদাতা পিতা ফকরুদ্দীন। এমন অভিযোগের মধ্যে সন্তানহারা মা লাশ দাফনের তিন মাস পর আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। সর্বশেষ আদালতের নির্দেশে গতকাল লাশটি কবর থেকে উঠানো হয়।
জানা যায়, মামলার বাদী শামশুন নাহারের বাপের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শা গ্রামে। পিতা ফকরুদ্দীনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার দারোগাহাট এলাকায়। বিয়ের পর থেকে এই দম্পতি মইশকরম এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
মা শামশুন নাহারের অভিযোগ পারিবারিক ঝগড়াঝাটির মধ্যে ফকরুদ্দিন সন্তান যোবাইয়েরকে হত্যা করে। এই ঘটনা প্রকাশ না করতে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এলাকায় প্রচার করেছিল তার সন্তান অসুস্থ হয়ে মারা গেছে।
গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মজিদ বলেছেন, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে শিশুটির লাশ উঠিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেলে আদালতকে জানিয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ফকরুদ্দীন অন্য একটি মামলায় এখন জেল হাজতে।