জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর কর্মসূচির অংশ হিসাবে গতকাল শনিবার ৬ মার্চ রাউজান-রাঙামাটি সড়কের ১০ কিলোমিটার ম্যারাথন করেছেন রাউজানের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ। যাদের সাথে ছিল লাল-সবুজের পোষাক পড়া দুই হাজার নারী-পুরুষ। সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ফুল ছিটিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আরো কয়েক হাজার মানুষ। ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের এই জনস্রোতের নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।
ম্যারাথন কর্মসূচির আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ। রাউজানের প্রবেশপথ হালদা সেতুর সর্তারঘাট এলাকায় সকাল ৯টায় সমাবেশ শেষে শুরু হয় ১০ কিলোমিটার পথে এই ম্যারাথনের জলিলনগর মুখি যাত্রা। কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। সাংসদের সাথে ম্যারাথনের প্রথম সারিতে ছিলেন তরুণ রাজনীতিক সাংসদ পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আবদুল ওহাব, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, দলের সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, স্বপন দাশ গুপ্ত, পৌর সভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, ১৪ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, পৌরসভার নারী ও পুরুষ কাউন্সিলররা।
ব্যান্ডের তালে তালে ম্যারাথনকারীদের উৎসাহিত করতে অগ্রভাগে বঙ্গবন্ধুর বিশাল প্রতিকৃতি বহন করছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের চার নেতা শ্যমল পালিত, কামাল উদ্দিন, শাহজান ইকবাল, সুমন দে।
সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, এই ম্যারাথন যাত্রা রাঙামাটি সড়কে জনস্রোতে পরিণত হবে। রাউজানের হাজার হাজার নর-নারী যোগ দিয়ে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, মুজিব আদর্শের উজ্জ্বীত রাউজানবাসীর অংশগ্রহণে সাড়া জাগানো এই ম্যারাথন হয়ে থাকবে স্মরণীয়। ১০ কিলোমিটার পথের এই ম্যারাথন শেষ হয় সাড়ে ১১টায় উপজেলা সদরের জলিলনগরে। এখানে পথযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের আপ্যায়নের দায়িত্বে ছিলেন সৈয়দ হোসেন কোম্পানির নেতৃত্বে একদল স্বেচ্ছাসেবী।