রাউজানে সাত ভাগে বিভক্ত হয়ে যৌথ অভিযান

অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫

রাউজান প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

রাউজানে সাত ভাগে বিভক্ত হয়ে যৌথ অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত বুধবার গভীর রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু এই তথ্য জানান।

অভিযানে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ৭টি দল, র‌্যাবএর দুটি বিশেষ দলের সাথে ছিল চট্টগ্রাম নৌপুলিশ, ৯ এপিবিএনএর চৌকস একটি টিম। রাউজান উপজেলাধীন নোয়াপাড়া, বাগোয়ান, পূর্ব ও পশ্চিম গুজরা, কদলপুর, রাউজান সদর ইউনিয়ন ও পৌরসভার সুলতানপুরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাটে ১৭টি চেকপোস্ট বসানো হয়। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৮টি এলজি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ, ১৪টি ছোরা, ৩টি রামদা, ২টি চাপাতি, ২টি তলোয়ার, ১টি কিরিচ ও ১টি ইলেক্ট্রিক কাটার। এসময় বৈধ কাগজপত্রবিহীন ২৮টি মোটরসাইকেল ও ১টি ট্রাক জব্দ করা হয়। অভিযানে মোটরযান আইনে ৩৭টি মামলা, বিভিন্ন অপরাধে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে র‌্যাব উদ্ধার করেছে ৩ টি এলজি, ২ টি তলোয়ার ও ১ টি কিরিচ।

এদিকে বিডিনিউজ সূত্রে জানা যায়, রাউজনে অভিযানের পুলিশ নাম দিয়েছে ‘অপারেশন ফর দ্যা পিস অব রাউজান’। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু সাংবাদিকদের বলেন, রাউজানকে ‘শান্ত’ করার প্রয়াসে জেলা পুলিশ, র‌্যাব নৌ পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, একটি নিরাপদ চট্টগ্রাম উপহার দিতে পুলিশ কাজ করছে। রাউজানকে সাতটি ভাগে ভাগ করে জেলা পুলিশের নেতৃত্বে র‌্যাব, এপিবিএন, নৌ পুলিশ রাত ২টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, পাঁচটি ভাগের দায়িত্ব নিয়েছে জেলা পুলিশ। আর কদলপুর ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকা দুইটি ক্লাস্টারের দায়িত্ব নিয়েছে র‌্যাব। রাতের অভিযানের বর্ণণা দিয়ে তিনি বলেন, কোন সন্ত্রাসী যাতে পালাতে না পারে সেজন্য নৌ এলাকায় নৌ পুলিশ এবং রাঙামাটি জেলা পুলিশ তাদের সীমান্তে এবং নগরীর প্রবেশপথে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ চেকপোস্টের মাধ্যমে জেলা পুলিশকে সহযোগিতা করেছে। সংবাদ সম্মেলনে রাউজানের সামপ্রতিক অপরাধ বেড়ে যাওয়ার পেছনে রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তি জড়িত কি না এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, রাজনীতিবিদের কাছে কোনো অপরাধী গেলে তিনি অপকর্ম কতটুকু প্রশ্রয় দিচ্ছে সেটা বিবেচ্য বিষয়। আমরা অপরাধী ধরতে গিয়ে কোন রাজনীতিবিদের যদি কোন তথ্য না পায় সেজন্য আমরা তাকে দায়ী করতে পারি না। যদি কোনো সংশ্লিষ্টতা পায় বা তার অভিভাকত্বে কেউ অপরাধ করছে তাহলে তাকেও আমরা আইনের আওতায় আনব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাইকোর্টে আসামিদের দণ্ড বহালের রায় প্রকাশ
পরবর্তী নিবন্ধএনসিটি নিয়ে চুক্তির সকল কার্যক্রম বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ