রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় খন্দকার গ্রুপের মামলা, আসামি ১২৯

রাউজান প্রতিনিধি | রবিবার , ১০ আগস্ট, ২০২৫ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

রাউজানে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী নাছিম উদ্দিন চৌধুরী নামে এক নেতা বাদী হয়ে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ১২৯ জনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল রাত ৯টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই রাউজান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সর্তারঘাট এলাকায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার অনুসারীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গোলাম আকবর খন্দকারসহ দুপক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এর প্রেক্ষিতে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ও গিয়াস কাদের চৌধুরীর পদ স্থগিত করে কেন্দ্র। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ জুলাই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক চিঠিতে সাত দিনের মধ্যে দলীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে একটি লিখিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে গত ৪ জুলাই তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজীজুল বারী হেলাল রাউজান গিয়ে তদন্ত করেন। সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন উভয় দলের নেতৃবৃন্দের।

গিয়াস কাদের চৌধুরীর অনুসারী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুরুল হক বলেন, যেহেতু এটা কেন্দ্র তদন্ত করছে সেহেতু আমরা মামলা করি নাই। আমার জানা মতে গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী যে মামলাটি দিয়েছে সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। এটা সত্যিই দুঃখজনক। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছিলেন। দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে আমরা আমাদের করণীয় নির্ধারণ করব।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ মেম্বার বলেন, খন্দকারের অনুসারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলা করে আমাদের বিরুদ্ধে এখন মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসন আমলেও দীর্ঘ ১৭ বছর হামলামামলার শিকার হয়েছি। এখন আবার কথিত বিএনপি নেতার অনুসারীর মামলার শিকার হচ্ছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এদিকে মামলার বাদি গোলাম আকবর খন্দকার অনুসারী নাছিম উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মামলার বাদী নাছিম উদ্দিন চৌধুরী ঐদিনের ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে থাকার কারণে মামলা দায়ের করতে সময়ক্ষেপণ হয়েছে।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া গতরাতে দৈনিক আজাদীকে বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আজ (শনিবার) বিকেলে নাছিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ১২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দিলে সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে পুত্রবধূ খুঁজতে এসে যেভাবে প্রতারিত হলেন চীনা নাগরিক