রাউজানে পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় দীপু বড়ুয়া (৩৪) নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাউজান উপজেলার পূর্বগুজরা ইউনিয়নে। দীপ বড়ুয়া ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাদল ভান্তের বাড়ির লেদু বড়ুয়ার ছেলে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) ভোর রাত ৪টায় নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরিবারের দাবি, গত দুই সপ্তাহ আগে দীপু বড়ুয়ার ডায়রিয়া হলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক গৌবিন্দ দাশের শরনাপন্ন হন তারা।
ওই চিকিৎসক একাধিক ইনজেকশন পুশ করার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যুঝুঁকির কথা পরিবারকে জানালে তারা ওই চিকিৎসককে খুঁজতে থাকেন। এরপর থেকে পলাতক রয়েছেন পল্লী চিকিৎসক গৌবিন্দ।
মৃত্যুবরণ করা দীপ বড়ুয়ার চাচাতো ভাই নপু বড়ুয়া বলেন, গত ২৭ জুন আমার জেঠাতো ভাই ডায়রিয়া আক্রান্ত হন। চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পল্লী চিকিৎসক গৌবিন্দের কাছে গিয়েছিলেন। তার চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর পুনরায় তার পেট ব্যথা শুরু হয়।
পরবর্তীতে গৌবিন্দের শরনাপন্ন হলে তিনি চারটি ইনজেকশন পুশ করেন। এরপর অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেনো হয়।
একাধিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা আমরা নিশ্চিত হয় ওই পল্লী চিকিৎসকের পুশ করা ইনজেকশন তার মৃত্যুঝুঁকি বেড়েছিল। পরে লাইফ সাপোর্টে রাখতে হয়। সর্বশেষ আজ শুক্রবার ভোর ৪টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বকুল বড়ুয়া বলেন, পরিবারের অভিযোগ ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে। পল্লী চিকিৎসক ভুল চিকিৎসা দেয়ার পর ওই লোক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সেখানকার চিকিৎসকদের দাবি ছিল পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে। ওই পল্লী চিকিৎসক পলাতক রয়েছে। রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুমন ধর বলেন, পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় কারো মৃত্যুর বিষয়ে আমি জানিনা।
প্রসঙ্গত, পল্লী চিকিৎসক গৌবিন্দ দাশ রাউজানের বাসিন্দা নন। তিনি মিরসরাইয়ের বাসিন্দা। তিনি রাউজানের পূর্বগুজরায় একটি ফার্মেসিতে বসে চিকিৎসা সেবা প্রদান করতেন।