চট্টগ্রামের রাউজানে নিখোঁজের ৩০ ঘন্টা পর শফিউল আলম চৌধুরী ওরফে শফি (৭০) নামে বাজারের এক নৈশপ্রহরীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল ১০টায় রাউজান পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের জঙ্গল রাউজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের পাশে খোলা এবং পেছনে সামীনা প্রচীর বেষ্টিত একটি স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শফি ওই ওয়ার্ডের ওয়াহেদের খীল গ্রামের গুরা মিয়া চৌধুরী বাড়ির প্রয়াত আমির আলী চৌধুরীর ছেলে। তিনি দুই ছেলেসহ চার সন্তানের জনক।
প্রায় ১ বছর ধরে তিনি রাউজান পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারের নৈশপ্রহরীর দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
তার স্ত্রী দিলু আরা বেগম বলেন, আমার স্বামী গত বৃহস্পতিবার বিকালে রাতের খাবার বাজারের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। ওইদিন রাতে তিনি নিখোঁজ হন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে শুক্রবার রাতে থানায় জিডি করি।
আজ সুজন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি মরদেহ দেখতে পেয়ে খবর দিলে আমরা সেখানে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় এটা আমার স্বামীর লাশ। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নিহতের ছেলে ইসহাক চৌধুরী বলেন, ‘আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। তার চোখ দুটি উপড়ে ফেলা হয়েছে। আমার বাবাকে অনেক কষ্ট দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই। নিহতের শ্যালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘গত দুই তিনদিন আগে একজন পাগল সেজে এসে তার সঙ্গে বাড়াবাড়ি ও হাতাহাতি করেছিল। সে সময় একজন একজনকে আঘাত করেছিল। এর কয়েদিন যেতে না যেতেই এই ঘটনা ঘটেছে। চোখ নেই, কানে ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। কীভাবে কারা মেরেছে তা জানিনা। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ বিচার চাই।’
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘লাশটি সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সহকারী পুলিশ সুপার (রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) বেলায়েত হোসেন বলেন, একটি লাশ পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি যে মার্ডার হয়েছে তা বলার মতো অবস্থা না। ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে এটি হত্যাকাণ্ড কিনা তা জানা যাবে।












