চট্টগ্রামের রাউজানে দুর্বৃত্তের গুলিতে মোহাম্মদ আলমগীর (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল এলাকার পশ্চিম রাউজানের কায়কোবাদ আহম্মদ জামে মসজিদের সামনে রশিদর পাড়া সড়কের পাশে তাকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
তিনি রাউজান রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী মার্কেট এলাকার সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির আবদুস সাত্তারের ছেলে।
এদিকে এই ঘটনায় একই এলাকার কালু সওদাগরের ছেলে রিয়াদ (২২) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের স্ত্রী লাভলী আকতার বলেন, আমরা আমার আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক সংযুক্ত অভ্যন্তরীণ সড়কে একদল অস্ত্রধারী মোটরসাইকেল যোগে এসে গুলি করে পালিয়ে যায়।
নিহতের ছেলে মোহাম্মাদ আরফাত বলেন, আত্মীয়র বাড়ি থেকে বাসায় ফেরার পথে মোটরসাইকেল নিয়ে সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারীরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। সিএনজিতে ছিলাম, বাবা তার বাইকে ছিলেন। অন্তত ২০-৩০জন অস্ত্রধারীরা বাইকে করে এসে আব্বুকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিল।
গুলির শব্দ শুনে আমি পালিয়ে যায়। আমি প্রাণে রক্ষা পেলেও বাবা বেঁচে নেই। আমি কয়েকজনকে চিনতে পেরেছি। পুলিশকে বলেছি। তার বাবা বিএনপির কর্মী ও গোলাম আকবর খোন্দকার অনুসারী বলে দাবি করেন আরফাত।
আমি চিনতে পারলেও আমার নিরাপত্তার স্বার্থে সংবাদকর্মীদের বলতে চাই না। আমি পুলিশকে বলেছি। হত্যায় জড়িত কয়েকজন আলমগীরের সঙ্গে দাওয়াতে গিয়েছিল বলেও দাবি করেন আরফাত।
রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল হাসান বলেন, ‘ঘাড়েসহ নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ৫টি গুলির চিহ্ন ছিল। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হলেও পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। গুরুতর আহত আরও একজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কী কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আলমের বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কোনো পদ পদবি না থাকলেও তাকে যুবদল নেতা উল্লেখ করে হত্যার তীব্র ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার।
