রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের ঊনসত্তরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবন নির্মাণের কাজ ফেলে পালিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার। গত দুই বছর ধরে অসমাপ্ত আবস্থায় ভবনটি ফেলে রাখায় বর্ধিত শিক্ষার্থীদের বসার স্থান দিতে দিতে পারছেনা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিব উল্লাহ বলেন, নয় শত শিক্ষার্থী রয়েছে এই বিদ্যালয়ে। আগে থেকে শ্রেণিকক্ষ সংকটে থাকা এই বিদ্যালয়ে সংকট মোকাবেলায় বিগত পাঁচ বছর আগে চারতলা একটি ভবন নির্মাণ করতে ঠিকাদার নিয়োগ করেছিল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদার প্রথম দিকে কাজ শুরু করলেও বিগত দুই বছর ধরে কাজ বন্ধ রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।
এ কারণে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের বসিয়ে পাঠদান করার কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা যায়, নির্মাণাধীন ভবনের পরিকল্পনায় ছিল ১৬টি শ্রেণিকক্ষ, বড় পরিসরে শৌচাগার, হলরুম করার। খবর নিয়ে জানা যায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জোনের আওতায় প্রথম ধাপে চারতলা বিশিষ্ট ভবনের একতলা পর্যন্ত কাজ শেষ করে এটি উদ্বোধন করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। ২০২০ সালে দ্বিতীয় দাফে ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছিল। কাজ শেষ করার মেয়াদ দুই বছর বেঁধে দেয়া থাকলেও ঠিকাদার কাজ শুরু করেছিল কাজের মেয়াদ পূর্তির পর। এরপরও সময় বাড়িয়ে নিলেও তৃতীয় তলা পর্যন্ত অবকাঠামো দাঁড় করিয়ে কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার ছিল আওয়ামী লীগের এক নেতা। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার বিপ্লবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে আত্মগোপনে চলে যান ঠিকাদাারী প্রতিষ্ঠান আইএস ট্রেডিংয়ের স্বত্ত্বাধিকারী ওই ঠিকাদার। অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকা বিদ্যালয় ভবনের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ–সহকারী প্রকৌশলী তোফাজ্জল হক বলেন, ‘বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের দ্বিতীয় ধাপের কাজ শেষ দিকে। আমি ভবনের কাজ শেষ করতে পালিয়ে থাকা ঠিকাদারকে ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটস অ্যাপে যোগোযোগ করার চেষ্টা করছি। সাড়া পাওয়া না গেলে বিকল্প ব্যবস্থায় নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করে অসমাপ্ত ভবনের কাজ সম্পন্ন করা হবে।