রাউজান উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বদায়িত্ব দেয়া হয়েছে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালকেন্দ্বের জেরে সৃষ্ট হানাহানি ও রক্তাক্ত সহিংসতার ঘটনার তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালকে দায়িত্ব দিয়েছে দলটি।
জানা গেছে, গতকাল কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে আজিজুল বারী হেলালকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে কয়েক মাস যাবৎ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির অধীন রাউজান উপজেলা বিএনপিতে অপ্রীতিকর ঘটনা, হানাহানি ও রক্তাক্ত সহিংসতার বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে একটি লিখিত প্রতিবেদন ৭ দিনের মধ্যে দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে রাউজান উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। এক গ্রুপে আছেন পদ স্থগিত হওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী এবং অপর পক্ষে আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা। এলাকায় নিজের অবস্থান তুলে ধরা এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায় দুই গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘটে খুনোখুনিও। দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে গত এক বছরে রাউজানে প্রাণ গেছে ১৫ জনের।
এদিকে গত মঙ্গলবার বিকেলে রাউজানের সর্তারঘাট এলাকায় গিয়াস কাদের ও গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় গোলাম আকবরসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হন। হামলার জন্য গিয়াস কাদেরকে দায়ী করেন গোলাম আকবর। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন গিয়াস কাদের। এ ঘটনার পর রাতেই বিলুপ্ত করা হয় উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি, যে কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন গোলাম আকবর খোন্দকার। একই দিন স্থগিত করা হয় গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দলীয় পদ। গিয়াস কাদের চৌধুরী তার ভাইস চেয়ারম্যান পদ স্থগিত করে কেন্দ্র থেকে দেয়া চিঠিতে যেসব অভিযোগ করা হয় তা প্রত্যাখ্যান করে তদন্ত কমিটি গঠনের অনুরোধ জানিয়ে বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সনকে চিঠি দেন। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।