রাউজানে তিনদিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ দুই বোনের

পুলিশের পরামর্শে কুমিল্লা গিয়ে ফিরে এসেছেন আত্মীয়-স্বজন

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শীল পাড়ার প্রবাসী মিন্টু শীলের দুই স্কুল পড়ুয়া কন্যা নিখোঁজের তিনদিন পরও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত মঙ্গলবার থেকেই তারা নিখোঁজ বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দুই বোন হচ্ছে ডাবুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী নিঝুম শীল (১৬) ও ছোট বোন প্রতিবন্ধী ঋতিকা শীল (৮)। মা হারা দুই বোন গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে ঘর থেকে স্কুলে যাওয়ার উদেশ্যে বের হয়েছিল। সেই থেকে তারা আর বাড়িতে ফিরেনি।
এই ব্যাপারে ডাবুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিঠু শীলের সাথে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কথা হলে তিনি আজাদীকে জানান, নিখোঁজ দুই বোনের মা নমিতা শীল মারা যাওয়ার পর চাচার ঘরে তারা বড় হচ্ছিলেন। তাদের বাবা এখন প্রবাসে রয়েছেন। নিখোঁজ হওয়ার পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর রাউজান থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন তাদের চাচা।
মিঠু শীল আরো জানান, এই ব্যাপারে আমাকে রাউজান থানার এএসআই হানিফ বৃহস্পতিবার সকালে ফোনে কথা বলেন। এএসআই হানিফ ফোনে আমাকে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর সন্ধানে কুমিল্লা যেতে পরামর্শ দেন এবং কুমিল্লায় উদ্ধার কাজের থানার এক এসআই সহযোগিতা করবেন বলে জানান। ঐ এসআইয়ের বিকাশ (নং ০১৩০৯০১০৫১২) নাম্বারে সাত হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। রাউজান থানার এএসআই হানিফের কথা মতো কুমিল্লার ঐ এসআইয়ের বিকাশ নাম্বারে ৭ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর বেলা ১১টায় আমরা ৮ জন কুমিল্লার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। আমরা মিরসরাই পর্যন্ত যাওয়ার পর ঐ বিকাশ নাম্বারটি বন্ধ পায়। কুমিল্লায় গিয়ে কুমিল্লা সদর থানাসহ বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে ঘুরে কোথাও নিখোঁজ দুই বোনের সন্ধান পায়নি।
এদিকে মেম্বার মিঠু শীলসহ যারা কুমিল্লায় গিয়েছিলেন তারা ফিরে আসার সময় ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি জানায়। ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করার পর তাদেরকে পরামর্শ দেয়া হয়-রাউজান থানার যে অফিসার তাদেরকে কুমিল্লা পাঠিয়েছেন এবং বিকাশে টাকা পাঠাতে বলেছেন সেই অফিসারের নামে রাউজান থানা অভিযোগ দিতে। এই ব্যাপারে রাউজান থানার এএসআই হানিফের নাম্বারে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল হারুন আজাদীকে জানান, প্রবাসী মিন্টু শীলের দুই স্কুল পড়ুয়া কন্যা নিখোঁজের বিষয়টি আমরা জেনেছি। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি, চেষ্টা করছি। এই ব্যাপারে তাদের এক আত্মীয় আজকে রাতে (গতকাল রাতে) থানায় একটি জিডি করেছেন।
বিস্তারিত জানার জন্য তিনি থানার ডিউটি অফিসারের সাথে কথা বলতে বললে থানার ডিউটি অফিসার এএসআই স্বপন আজাদীকে জানান, নিখোঁজ নিঝুম শীল ও তার ছোট বোন ঋতিকা শীলের ব্যাপারে তাদের চাচা ঝুন্টু শীল একটি জিডি করেছেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্কুলে যাওয়ার কথা বলে এই দুই বোন বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। মামলাটি এসআই সাইফুর রহমান তদন্ত করছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলালদিয়ার চরের ৫০০ অসহায় পেল খাদ্য সামগ্রী
পরবর্তী নিবন্ধআন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস আজ