পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাউজানে গ্রামে গ্রামে অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। এতে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্নস্থান থেকে কোরবানির পশু এনে বেচাবিক্রি করছে। তবে এখনো বেচাবিক্রি জমে উঠেনি। গত কয়েক বছর থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সৃষ্ট এসব অস্থায়ী হাটের কারণে রাউজানের পুরনো পশু বাজার বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই উপজেলায় আগের প্রায় ১০টি প্রধান পশুর হাট এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। এখন পুরনো পশু হাটের মধ্যে রয়েছে মাত্র দুটি। এই দুটি হাটেই এখন ইজারার আওতায় আছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্নস্থানে মৌসুমী ব্যবাসায়ীরা অন্তত ২০টি অস্থায়ী হাট বসিয়েছে। ব্যবসায়ীরা পাড়ায় পাড়ায় পশু রাখার অস্থায়ী শেড সৃষ্টি করে পঞ্চাশ, এক’শটি করে বিভিন্ন সাইজের পশু রেখে প্রতিদিনই বেচাকেনা করছে। গতকাল বুধবার সপ্তাহিক অস্থায়ী প্রথম কোরবানির পশু বাজার বসেছে রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে চারাবটতল এলাকায়। প্রথম দিনে এখানে বিক্রির জন্য আনা হয়েছে কয়েক হাজার পশু। বেচাকেনাও হয়েছে মোটামুটি। পৌরসভার ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, গত প্রায় সাত বছর থেকে এখানে সপ্তাহে বুধ ও শনিবার হাট বসে। পার্বত্য জেলাসহ বিভিন্ন স্থানের মানুষ এই হাটে বিক্রির জন্য কোরবানির পশু নিয়ে আসে। অনেকে শহর থেকে এসেও পছন্দের পশু নিয়ে যায়। গতকাল এই হাট থেকে তিনিও একটি গরু এক লাখ ৩০ হাজার টাকায় নিয়েছেন বলে জানান। রাউজান উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, রাউজানের বিভিন্ন গ্রামে ৪শত ৫৯টি পশু খামারে ৪১ হাজার ৬শত ১৭টি গরু, মহিষ, ছাগল ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।