রাউজানের উরকিরচর, পশ্চিম গুজরা ও বিনাজুরী ইউনিয়নে স্থানীয় বিএনপির উদ্যোগে পৃথক তিনটি শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৮ বছর ধরে রাউজানে বিএনপির নেতাকর্মীরা অসহনীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে নির্বাসিত জীবনযাপন করে আসছিল। তাদের অনেকেই মা–বাবার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েও শেষ বারের মত মৃত মা–বাবার মুখ দেখতে বাড়িতে আসতে পারেনি, অংশ নিতে পারেনি জানাজায়। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাঝে জুলুমবাজ সরকারপ্রধান স্বৈরচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। নির্যাতিত মানুষের জনরোষে পড়ার আশংকায় তাদের দোসররা এখন রাউজান থেকে পালিয়েছে। তারা এখন অজ্ঞাতস্থানে অবস্থান করে রাউজানকে অস্থিতিশীল করে তুলতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। স্বাধীন হওয়া এই রাউজানে আর কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজকে অশান্তি সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না।
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে। যাতে কোনো অপরাধী রাউজানে মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু পরিবার সমূহের শান্তি ও নিরাপত্তায় বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশে থাকতে হবে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, রাউজান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক জসীম উদ্দিন চৌধুরী, সদস্য সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ এমদাদ হোসেন, আবু তাহের, সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজদৌল্লাহ, এডভোকেট আবু সাইয়েদ, নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, রাউজান পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক আবু আহমেদ, সদস্য সচিব ইখতিয়ার উদ্দিন খান, এইচ এম নুরুল হুদা, শামসুল হক বাবু, হাজী আবদুল মান্নান, সারাফত উল্লাহ বাবুল, জানে আলম, জিএম মোরশেদ, আইয়ুব খান জনি, আনোয়ার আজিম, শেখ নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আকবর, মোহাম্মদ ওয়াসিম। অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন শাকিল ইসলাম, মোহাম্মদ মামুন, মোহাম্মদ লোকমান মেম্বার, রায়হান উদ্দিন ইরফান, সাফায়ত হোসেন রাকিব, মোহাম্মদ আকবর, জাবেদ হোসেন মুন্না, সোহেল, মিরাজ, হাসান প্রমুখ।