রাউজানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিজ বাড়ির অদূরে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার নাম আলমগীর প্রকাশ আলম। তিনি পূর্ব রাউজানের ছিদ্দিক চৌধুরীর বাড়ির আব্দুস সাত্তারের ছেলে। গতকাল শনিবার বিকেলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে জঙ্গলে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকালের এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী। বিবৃতিতে বলা হয়, নিহত আলম পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদল নেতা। তিনি আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর মুক্ত হয়ে বাড়িতে ছিলেন। বিবৃতিতে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, রাউজানে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে এ নিয়ে মোট ১৭টি খুনের ঘটনা ঘটল। পুলিশ প্রশাসনের দাবি, রাউজানে ১৭ খুনের মধ্যে সবকটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয়। ১৭টির মধ্যে ৮টি খুন হয়েছে রাজনৈতিক কারণে।

স্থানীয় জনসাধারণ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে আলম তার বাড়ির অদূরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন পরিবার নিয়ে। ফিরে আসার পথে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রশিদাপাড়া সড়কের ভিতর অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীরা তাকে গুলি করে খুন করে। বাড়িতে ফেরার পথে তিনি অপর এক যুবকসহ মোটরসাইকেলে ছিলেন। পিছনে একটি টেক্সিতে ছিলেন তার স্ত্রী। সন্ত্রাসীরা পরপর কয়েকটি গুলি করে যা আলমের তলপেটের নিচে ও বুকে লাগে। এ ঘটনায় রিয়াদ নামের আরো এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। তবে তাৎক্ষণিক কেউ তার বিস্তারিত পরিচয় ও ঠিকানা জানাতে পারেনি।
স্থানীয় জনসাধারণ সূত্র সমূহ থেকে জানা যায়, হত্যাকারীরা ওঁৎ পেতে বসেছিল রশিদাপাড়া রাস্তার পাশে একটি মসজিদের কাছে ঝোঁপের ভিতর। আলম এই পথে ঝোঁপের কাছাকাছি আসামাত্র তারা আড়াল থেকে বেরিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়।
খুনের ঘটনার বিষয়ে জানতে বারবার ফোন করলেও রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ফোন রিসিভ করেননি। তবে থানা সূত্রে জানা যায়, আলমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত আলমের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর দিন দুপুরে মদুনাঘাটে গাড়ি আটকিয়ে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে খুন করেছিল রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী ব্যবসায়ী আবদুল হাকিমকে। হাকিম সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী।












