রাউজানে মিষ্টির দোকানে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে ছাই হয়ে গেছে ৮টি দোকান। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে রাউজান সদর ইউনিয়নের রমজান আলী হাটে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলে বাজারের অন্যান্য দোকান রক্ষা পায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভোরে বাজারের লোকজনের হৈ ছৈ শুনে আশেপাশের লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পায়। তারা আগুন নিভানোর চেষ্টার পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস এসে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভানো হলেও এর মাঝে আটটি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে শ্যামা মিষ্টি বিতান, শাহ আলমের মুদির দোকান, আনন্দ ভট্টাচার্যের সিমেন্টের দোকান, এজাবতুল্লাহর মোবাইল সার্ভিস দোকানসহ আবসার, শুভ নাথ, সমির নাথ এবং পিন্টু নাথের দোকান। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি এই আগুনে তাদের প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বাজারের শ্যামা মিষ্টি বিতান থেকে। এই দোকানের মালিক মিলন নাথ অভিযোগ করে বলেছেন, শত্রুতা করে তার দোকানে আগুন দেয়া হয়েছে। জায়গা নিয়ে বিবদমান দুটি মন্দির কমিটির মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে এই ঘটনা ঘটানো হতে পারে। তার দাবি, ১৫ দিন আগেও একবার আগুন দেয়া হয়েছিল। দোকান কর্মচারীরা জেগে থাকায় সেদিন আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছিল। বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকেও অবহিত করেছিলেন।
রাউজান ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ভোর ৫টার দিকে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টার মধ্যে আগুন নেভাতে সক্ষম হই। আমাদের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।