রাউজানে কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করে স্তুপ করে ফেলে চলে গেছে প্রভাবশালীরা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিদুয়ানুল ইসলাম উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের তিনটি স্পটে স্তুপ করা বালু জব্দ করে স্পট নিলাম ডাকেন।
প্রকাশ্যে নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খেলার ঘাট স্পটে জব্দকৃত ৪৬ হাজার বর্গফুট প্রতি বর্গফুট ৪টাকা করে ১৮ শতাংশ ভ্যাটসহ ২লাখ ১৭ হাজার ১২০ টাকা, লাম্বুরহাটের গরুহাট সংলগ্ন স্পটে ৪৯ হাজার বর্গফুটের মধ্যে প্রতিফুট ৫.৮০ টাকা করে ১৮ শতাংশ ভ্যাটসহ ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৩৫৬ টাকা, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্পটে ৩৫হাজার বর্গফুটের মধ্যে প্রতিবর্গফুট ৪.২০ টাকা করে ১৮ শতাংশ ভ্যাটসহ ১ লাখ ৭৩ হাজার ৪৬০ টাকা করে মোট ৭ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৬ টাকা দর নির্ধারণ করে নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিদুয়ানুল ইসলাম বলেন, কর্ণফুলী নদীর রাউজান অংশে অভৈধভাবে উত্তোলন করে ফেলা যাওয়া বালু জব্দ করে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
এক মাসের মধ্যে এসব বালু বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়া হওয়া হয়েছে। স্তুপকৃত বালু বিক্রয়ের পর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি ব্যতিত কেউ অবৈধভাবে বালু বিক্রি বা বিপনন করতে পারবে না। যদি কেউ করে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।