রাউজানের হত্যাকাণ্ডগুলো রাজনৈতিক নয়, চাঁদাবাজি ও মাটি-বালু নিয়ে

উত্তর জেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে গোলাম আকবর পাঁচ পয়েন্টে যৌথবাহিনীর টহল জোরদারের দাবি

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ at ৪:২৪ পূর্বাহ্ণ

সাম্প্রতিক সময়ে রাউজানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলোর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার। সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের জন্য তিনি চাঁদাবাজি, বালুমহাল দখল, অবৈধ মাটি কাটার প্রতিযোগিতা ব্যবসাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর রাউজানে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক কোনো নেতার দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে হয়নি। দলের প্রকৃত কোনো নেতাকর্মী সন্ত্রাসী হতে পারে না। আবার কোনো সন্ত্রাসী দলের নেতাকর্মী হতে পারে না। কেউ যদি অপরাধ করে বিএনপির নেতাকর্মীর মধ্যে ঢুকে যায় তাহলে আমাদের তা ফাইন্ড আউট করা উচিত এবং সেটাকে যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়া উচিত।

গতকাল শনিবার দুপুরে নগরের নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় রাউজানের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাউজানের পাঁচটি পয়েন্টে যৌথবাহিনীর টহল জোরদার এবং সিসিটিভি স্থাপনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করলেও বৃহৎ দল হিসেবে বিএনপির নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের কাজগুলো বেশি মানুষের চোখে পড়ছে এবং পত্রিকায়ও আসছে।

যে কারণে হত্যাকাণ্ড : বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ১৯৮৫ সালে কলেজছাত্র ফারুক হত্যার মাধ্যমে রাউজানে হত্যাকাণ্ড শুরু হয়। এ পর্যন্ত শতাধিক ছাত্রযুবককে প্রাণ দিতে হয়েছে রাউজানে। সে সময় ছাত্রলীগ ও অধুনালুপ্ত এনডিপির সন্ত্রাসীরা এসব হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিল। নতুনভাবে ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর সে হত্যাকাণ্ডগুলো নতুনভাবে শুরু হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ মাটি কাটা, বৈধঅবৈধ বালুমহাল দখলের দ্বন্দ্ব, বিক্রির দ্বন্দ্ব, চাঁদাবাজি, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার থেকে কমিশন বাণিজ্য করার প্রতিযোগিতা, সাধারণ ব্যবসায়ীদের তালিকা করে তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা; চাঁদা না দিলে তাদের দোকানপাটে হামলা ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া, বিভিন্ন অপকর্মে সন্ত্রাসীরা এই হত্যাযজ্ঞগুলো করে আসছে।

তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে নোয়াপাড়ার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে মেরেছে। এই ঘটনার নেপথ্যেও ছিল চাঁদাবাজি। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, সর্বশেষ ইব্রাহিম নামে যে হত্যাকাণ্ড সেটাও তাদের কোন্দলের কারণে ঘটেছে। রায়হান নির্দেশিত হয়ে নাকি হত্যা করা হয়। এই রায়হান উত্তর জেলা ছাত্রদলের সদস্য পেয়ার মোহাম্মদ বাবুকে হত্যা করার জন্য তার দুই পায়ে গুলি করেছে। নিজেকে সেভ করার জন্য সে (রায়হান) এখন রাজনীতি নিয়ে আসছে, যা প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করছে।

যৌথ বাহিনীর টহল দাবি : গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, শুধু ক্যাম্প স্থাপন করলে হবে না। রাউজাননোয়াপাড়ায় এখনো একটা পুলিশ ক্যাম্প আছে। এই ক্যাম্প থাকার পরও সন্ত্রাসী হচ্ছে কেন? এত মানুষ মারা যাচ্ছে কেন? পুলিশ কি ঘরে ঘরে গিয়ে পাহারা দিতে পারবে? এটা কোনোদিন সম্ভব না।

তিনি বলেন, র‌্যাব অথবা সামরিক বাহিনী যারা এখন মাঠে আছে তাদের টহল কিছু পয়েন্টে জোরদার করতে হবে। নোয়াপাড়া, পথের হাট, পাহাড়তলী চৌমুহনী, গহিরা, মুন্সিরঘাটা ও উপজেলা সদরে র‌্যাব বা যৌথবাহিনীর সার্বক্ষণিক টহল দরকার। এতে করে মানুষ যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সেটি বন্ধ হয়ে যাবে। সন্ত্রাসীরা ভয় পাবে। পাশাপাশি এই পাঁচটি স্পটে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। হালদা ও কর্ণফুলী থেকে অন্তত কয়েক মাসের জন্য বালু উত্তোলন বন্ধ রাখতে হবে।

প্রসঙ্গত, রাউজানে সন্ত্রাসনৈরাজ্য, শুমখুন ও চাঁদাবাজি বন্ধে র‌্যাবের ক্যাম্প স্থাপনসহ চার দফা দাবি জানিয়ে ২২ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী।

মামলার আসামি না করতে চাঁদা দাবি : রাউজানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় নিরীহদের আসামি করা এবং আসামি না করতে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে অভিযোগ করে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, রাউজানে যে হত্যাকাণ্ডগুলো হয়েছে, সেগুলোতে পরবর্তীতে আসামি দেওয়ার জন্য ‘তোড়জোড়’ শুরু হয়ে যায়। কাকে কাকে আসামি করা হবে, কাকে আসামি করলে টাকা আদায় করা যাবে, সেটা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়ে যায়। যেমন কয়েকদিন আগে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের মুহাম্মদ মানিক আবদুল্লাহকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এখানে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। মাটি কাটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু তারপরও তাকে দলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। আমরা ডিনাই করছি। এই হত্যাকাণ্ডে হওয়া মামলায় ইসমাইল নামে দুবাই প্রবাসী এক ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়েছে, যার বাড়ি রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়। কয়েকটি মামলা পর্যালোচনা করলে সেটা আমরা দেখি। পরবর্তীতে শুনেছি তাকে বলা হচ্ছে টাকা দিলে মামলা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

সাধারণ মানুষ থানায় যেতে পারে না : গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাউজান উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনে দুটি গ্রুপ গিয়ে বসে থাকে। কেমন করে বসে থাকবে? ওখানে একটা গ্রুপ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহারা দিয়ে বসে থাকে। যারা ৫ আগস্টে পটপরিবর্তনের দিন রাউজান থানায় হামলা করে অস্ত্র লুট করেছে, তারাও থানার আশপাশে গিয়ে বসে থাকে। মানুষ যাবে কোথায়? সাধারণ মানুষ থানায় যেতে পারে না। প্রশাসনের কাছে যেতে পারে না। কয়েকদিন আগে জেলা যুবদলের সভাপতির নেতৃত্বে ১৫ জন উপজেলা প্রশাসনে যায় সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য। আলাপ করে বের হওয়ার সময় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। তাদের বলা হয়েছে, তারা সেখানে যেতে পারবে না। সেটা নেতার নির্দেশ। একই রূপ থানা প্রশাসনেও।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তাকে যুবদল নামধারী একজন সন্ত্রাসী মারধর করেছে। আগে সে ছাত্রলীগ করত। পটপরিবর্তনের পর যুবদলের হয়ে গেছে। প্রকল্প কর্মকর্তা থানায় গিয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে কারও ছত্রচ্ছায়ায় তার জামিন পেয়েছে। কার প্রভাবে সে জামিন পেয়েছে সেটা তদন্ত করা দরকার।

কোটি টাকার চাঁদা কার পকেটে যায় : গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, রাঙামাটিকাপ্তাই থেকে প্রতিদিন গাছের ট্রাক আসে। প্রতিদিন প্রায় ৫০টির বেশি গাড়ি থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। রাউজানে ৩৮টির মতো ইটভাটা রয়েছে। প্রতিটি ইটভাটা থেকে ৩ লাখ টাকা দিতে হবে, এমন নিয়ম ধার্য হয়েছে। অবশ্য গত নভেম্বরে প্রতিটি ইটভাটা ২ লাখ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করা হয়েছে। আর গত ঈদের আগে প্রতিটি থেকে ১ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। কোটি টাকার ঊর্ধ্বে এই টাকা কার পকেটে গেছে তা খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ বাড়িঘর নির্মাণ করছে। বাড়িঘর নির্মাণে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। ওই টাকা তুলতে কালেক্টর (সংগ্রহকারী) আছে। তারা টাকা তুলে অ্যাকাউন্টে জমা দেয়। কোটি টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে। ওই টাকা কোন অ্যাকাউন্টে যায় চেক করলে বেরিয়ে আসবে।

তিনি বলেন, সরকারি সংস্থা বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে। ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তাঘাট, ভবন নির্মাণ করছে। সরকারি ঠিকাদার থেকে ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন আদায় করা হচ্ছে। টাকা না দিলে রাস্তার কাজ বন্ধ করা হচ্ছে। যেমন রাউজানে পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটি ব্রিজ নির্মাণ করছে। খরচ হচ্ছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। চাঁদার দাবিতে ওই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, ৩ কোটি টাকা চাঁদা দিতে হবে। আমাকে ফোন করে বিষয়টি ঠিকাদার জানিয়েছেন। এই অবস্থা প্রতিটি সেক্টরেই আছে।

গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তারা অস্ত্র কিনে। বিগত সময়ে রাউজানে অনেক অস্ত্রশস্ত্র কেনা হয়েছে। প্রশাসনসহ অনেকে জানেন এটা। সন্ত্রাসীরা তাদের কর্মকাণ্ডকে আড়াল করার জন্য রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ব্যবহার করছে।

একজন ভাইস চেয়ারম্যানকে শোকজ করা হয় : গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, চাঁদাবাজিদখল নিয়ে বিএনপির হাই কমান্ড জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে উপজেলার কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। কয়েক মাস আগে দলের কেন্দ্রীয় একজন ভাইস চেয়ারম্যানকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে সুনির্দিষ্ট চাঁদাবাজি, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগের কারণে। উপজেলা পর্যায়ের কয়েকজন নেতার পদও স্থগিত করা হয়েছে। সুতরাং দল কোনো অবস্থাতেই এই সন্ত্রাসী ও অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে কোনো সময় কম্প্রোমাইজ করবে না। কারো ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে দলের ইমেজ ক্ষুৃণ্ন হোক আমরা চাই না।

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে শোকজ করেছিল কেন্দ্র। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধের জেরে রাউজানে খুনোখুনি ঘটছে কিনা, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য জানতে চাইলে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, আমি এখানে দলের কারও বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য সংবাদ সম্মেলন করছি না। আমি বিএনপির একটা দায়িত্বে আছি। আমি যদি কারো নাম বলি তখন বলবে, ওরা বিরুদ্ধে তাই বলছে। সবচেয়ে ভালো হয় যে নিহত হয়েছে সে বিএনপিতে ছিল কিনা, অধুনালুপ্ত এনডিপি বা আওয়ামী লীগের সাথে সংশ্লিষ্ট কিনা দেখতে হবে। আর যে নিহত হয়েছে তার ব্যাকগ্রাউন্ডটা চেক করলে হবে।

তিনি বলেন, যারা নিহত হচ্ছে এবং যারা হত্যায় জড়িত তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখলে বুঝবেন এসবের সঙ্গে কারা জড়িত। তাদের অতীত অবস্থান পর্যালোচনা করলে সহজে বের হয়ে যায়। আমার বলার নেই। আমি বললে এটা একপক্ষীয় হয়ে যাবে। এই যে রায়হান সেকি ছাত্রদলের কেউ? সে যুবলীগের, সে এখন কারো ছত্রছায়ায় থেকে বিএনপির নাম ব্যবহার করছে। এই রায়হান ছাত্রদলের সদস্য পেয়ার মোহাম্মদ বাবুকে গুলি করেছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ চেষ্টা করছে। সে কোনো নেতার আশ্রয়ে বা পাহাড়ে থাকে। সে সর্বশেষ মানিককে হত্যা করেছে। কারো কারো সাথে তার ছবি অনলাইনে দেখেছি।

গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, আমি সাংবাদিক ভাইদের কথার প্রেক্ষিতে আমার দলের একজন ভাইস চেয়ারম্যানের কথা বলেছি। আমার দলের অবস্থান বুঝাতে গিয়ে সেটা বললাম। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে দল কাউকে ছাড় দিবে না, সেজন্য শোকজ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি জড়িত থাকলে আমার নামও উন্মোচন করুন। কিন্তু মনগড়া কথা বলে দেবেন না। দলের পার্লামেন্ট বোর্ড এগুলো বিবেচনা করে মনোনয়ন দেবে। এলাকার প্রভাব বিস্তারের সাথে মনোনয়নের কোনো সম্পর্ক নেই।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এম এ হালিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস, কাজী সালাউদ্দিন, নুরুল আমিন, প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) আজিমুল্লাহ বাহার, রাউজান উপজেলা বিএনপি সভাপতি অধ্যাপক জসীম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমে মাসে ৩ দিন করে দু’বার ছুটির ফাঁদ
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়ায় ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা