রাউজানের প্রতি ইউনিয়নে ন্যায্যমূল্যের দোকান

ভর্তূকি দেবেন ফজলে করিম এমপি

রাউজান প্রতিনিধি | রবিবার , ৪ জুলাই, ২০২১ at ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ

রাউজান উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে করোনার লকডাউনে চালু রাখা হবে ন্যায্যমূল্যের দোকান। এই খাতে ভূর্তকি দেয়া হবে সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে।
এই কর্মসূচির আওতায় বড় পরিসরে ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলা হয়েছে পাহাড়তলী ইউনিয়নে। এর আগে রাউজান পৌরসভায় এই কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন সাংসদ পুত্র ফজলে করিম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফারাজ করিম চৌধুরী। মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ গত এক সপ্তাহ ধরে এটি ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্প্রসারণ করেছেন। জানা যায়, পৌরসভা এলাকায় ন্যায্যমূল্যের দোকানের পণ্যের চাহিদা দেখে ফজলে করিম চৌধুরী মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষের জন্য এটি ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেন। এই খাতে দেয়া ভূর্তকি নিজে দেবেন বলে জনপ্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন। এদিকে উপজেলা ও পৌরসভার কর্মহীন দেড় হাজার মানুষ নগদ এক হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। গতকাল শনিবার পাহাড়তলীতে এই টাকা পেয়েছেন একশ মানুষ। জানা যায়, করোনায় লকডাউনের মধ্যে কর্ম হারিয়ে অর্থ সংকটে থাকা মানুষের জন্য এই টাকা দিয়েছে সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে। জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পরামর্শ অনুসরণ করে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবীদের আগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে এই টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে।
পাহাড়তলী ইউনিয়নের এই টাকা বিতরণের পাশাপাশি এদিন মধ্যভিত্ত ও গরিব মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির দোকান উদ্বোধন করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ। স্থানীয় চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন বলেন, বাজার মূল্যে অনেক কম দামে ভূর্তকি দিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিক্রির দোকান খোলা হয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্যোক্তা রাউজানের সংসদ ফজলে করিম চৌধুরী। তিনি এই কর্মসূচি চালিয়ে নিতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দিয়েছেন। পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেছেন, ফারাজ করিমের অনুপ্রেরণায় গত এক সপ্তাহকাল ধরে পৌর ৯টি ওয়ার্ডে ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু রাখা হয়েছে। যতদিন লকডাউন থাকবে ততদিন এই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ। পাহাড়তলীর কর্মসূচিতে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতীশ দর্শী চাকমা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, আওয়ামী লীগ নেতা দোস্ত মোহাম্মদ খান, মো. নুরুন নবী, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির এসএএম রুবেল, মাসুদ হোসেন রুবেল, সুজন মল্লিক, উপজেলা ছাত্রলীগ (দক্ষিণ) এর সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, নুরুল আজিম, নঈম উদ্দিন চৌধুরী, শৈকত তালুকদার প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় প্রধানমন্ত্রীর নগদ উপহার পেল ৬৫০ পরিবার
পরবর্তী নিবন্ধকরোনায় মৃতদের দাফন সৎকারে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন