ছয় দফা দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে ধর্মঘট ডেকেছে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারের গাড়িচালকরা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে কোম্পানিগুলোর কমিশন ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা, পুলিশি হয়রানি বন্ধ ইত্যাদি।
‘অ্যাপ বেইজড ড্রাইভারস ইউনিয়ন অভ বাংলাদেশ’ সংগঠনের ব্যনারে এই কর্মসচি আহ্বান করা হয়েছে। বিডিনিউজ
তারা ধর্মঘট করলে মঙ্গলবার উবার, পাঠাওয়ের মতো অ্যাপে গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেল পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে নগরবাসীকে।
কর্মসূচি আহ্বানকারীদের ছয় দফার মধ্যে রয়েছে রাইড শেয়ারিং চালকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, রাইড শেয়ারিংয়ের কমিশন ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ, ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে রাইড শেয়ারিং যানবাহন দাঁড়ানোর জায়গা বরাদ্দ, পুলিশি হয়রানি বন্ধ, রাইড শেয়ারিংয়ে তালিকাভুক্ত যানবাহনগুলোকে অগ্রিম আয়করের বাইরে রাখা এবং গত বছর রাইড শেয়ারিং যানবাহনের কাছ থেকে আদায়কৃত অগ্রিম আয়কর মালিকদের ফেরত দেওয়া।
পুলিশের মামলায় অতিষ্ঠ হয়ে নিজের বাইকে আগুন
ধর্মঘট ডাকার বিষয়ে ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভারস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ বলেন, “আমরা মানুষকে সেবা দিচ্ছি অথচ আমাদের শ্রমিক হিসেবে কোনো স্বীকৃতি নেই। সেই স্বীকৃতি দিতে হবে। এখন অ্যাপে যা ভাড়া আসে তার চার ভাগের একভাগ কমিশন হিসেবে নিয়ে যায় অ্যাপ কোম্পানি যার ফলে অনেক চালক অ্যাপে না গিয়ে সরাসরি ভাড়া ঠিক করে যাত্রী বহন করেন। এভাবে যাত্রী বহন করা যাত্রী ও চালক উভয়ের নিরাপত্তার জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। তাই আমরা বলছি, কমিশন কমিয়ে ১০ শতাংশ করলে চালকেরা অ্যাপ ব্যবহারে উৎসাহিত হবে।”
‘পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে’ ঢাকার বাড্ডায় রাইড শেয়ারের এক চালকের নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সংক্রান্ত দাবিনামাও যুক্ত হয়েছে ছয় দফার মধ্যে।
বেলাল বলেন, “আমরা যে ঢাকায় দিনভর গাড়িগুলো চালাই, আমাদের দাঁড়ানোর কোনো জায়গা নেই। একটু কোথাও দাঁড়ালেই পুলিশ এসে পার্কিংয়ের মামলা দেয়। আজকেই এক ভাই পার্কিংয়ের মামলা খেয়ে বাইক পুড়িয়ে দিয়েছেন, সেটা আপনারা জানেন। এছাড়া পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি আমাদের অনেক দিনের। অ্যাপের গাড়ি (কার) সামান্য অজুহাত পেলেই পুলিশ মামলা দিয়ে দেয়। এইসব হয়রানি বন্ধ করতে হবে।”