দক্ষিণ চট্টগ্রামে সর্ববৃহৎ গরু–মহিষের বাজার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ সরকারহাট পশু বাজার তিন দফায়ও ইজারা হয়নি। ৮ জন দরপত্র গ্রহীতার কেউ দরপত্র জমা না দেওয়ার কারণে ইজারা প্রদান সম্ভব হয়নি বলে জানা যায়। তবে দরপত্র গ্রহীতারা ফরম জমা না দেওয়ায় এই বাজারের ইজারা নিয়ে নানা রহস্যের জন্ম দিয়েছে। বর্তমান ইজারার সরকারি মূল্য ছিল ৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ হাটের ইজারা নিতে ইজারাদারদের নানান দৌঁড়ঝাপ ও নানা তদবির ছিল লক্ষ্যণীয়।
কিন্তু এ বছর এ পশুর হাটের ইজারা নিতে ৮ ইজারাদার দরপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ দিনে এসে রহস্যজনক কারণে তাদের কেউ ইজারা আহ্বানের নির্ধারিত তারিখে তিন দফায়ও কেউ দরপত্র জমা দেননি। যার ফলে রহস্যের বেড়াজালে আটকে যায় এ হাটের ইজারা!
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসন ১৪৩০ বাংলা সনের উপজেলার ২০টি হাট–বাজারের ইজারার দরপত্র আহ্বান করে। তার মধ্যে অন্যান্য হাট বাজারের পাশাপাশি সরকার হাট পশুর বাজার ইজারা নিতে ৮ ইজারাদার দরপত্র গ্রহণ করেন। গত ১৫ মার্চ প্রথম দফায় উপজেলার সব হাটবাজার উন্মুক্ত দরপত্র খোলা হলে উপজেলার সবচেয়ে আলোচিত সরকার হাট পশুর বাজারের ইজারা নিতে কোনো দরপত্র জমা না দেওয়ার কারণে সরকার হাট ছাড়া উপজেলার অন্যান্য বাজার গুলো ইজারা হয়। যার কারণে গত ২২ মার্চ দ্বিতীয় পর্যায়ে আর ২৯ মার্চ ছিল তৃতীয় দফায় ইজারার জন্য পুনঃদরপত্র জমাদানের দিন। কিন্তু তৃতীয় দফায়ও কোনো দরপত্র জমা না হলে বহুল আলোচিত এ হাটের ইজারা নিয়ে রহস্যের জট বাঁধে। এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, তৃতীয় দফায়ও সরকার হাট পশু বাজারের ইজারার দরপত্র জমা না পড়ায় এ হাটের ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়নি।