মাইজভান্ডারের সাংস্কৃতিক দূত কবিয়াল রমেশ শীল যেন লোকসংগীতের এক বিস্ময়কর প্রতিভা। তিনি মাইজভান্ডারী গানে মাইজভান্ডারী ত্বরীকার বাণী বাহক। তার গানে তিনি আধ্যাত্মিক মহিমান্বিত এবং সুগভীর ইতিহাস, ঐতিহ্য নির্ভর সকল শব্দ ব্যবহারে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস ও পরিপূর্ণ স্বার্থকতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি মাইজভান্ডারী গানের উদ্ভবের মেজাজকে পুরোপুরি অক্ষুণ্ন রেখে আবহমান বাংলার লোকসংগীতের স্রোতধারার সাথেও সমন্বিত করেছেন মর্যাদাপূর্ণভাবে।
একাধারে গীতিকার, সুরকার, কন্ঠ শিল্পী কবিয়াল রমেশ শীল বা রমেশ চন্দ্র সরকার বা রমেশ চন্দ্র শীল। তিন শতাধিক মাইজভান্ডারী গান রচনা করে তিনি মরমী গানের জগৎকে আশ্চর্যজনকভাবে সমৃদ্ধ করেছেন যা গুণগত বিচারে উচ্চমার্গীয় ও কালোত্তীর্ণ। তার এ সকল গান দেশের সংগীত জগৎকে এক নতুন ভাবজোয়ারে পূর্ণ করে সাধন সংগীতকে নিয়ে আসেন লোকসংগীতের কাতারে, জনপ্রিয় করে তোলেন যুগপৎ দরবারে ও সুধী মহলে। জন্ম ১৮৭৭ সালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডী গ্রামে এবং মৃত্যু হয় ১৯৬৭ সালে । তাঁর গানে ব্যবহৃত আধ্যাত্মিক রহস্যপূর্ণ শব্দ সমূহ মরমী ভাবধারা, আধ্যাত্মিক ধারা, উদার, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বক্তব্যে সমৃদ্ধ। তার সকল গান শব্দসৌন্দর্যে, বাক্যসৌন্দর্যে, ভাবসৌন্দর্যে, সুরসৌন্দর্যে, নিপুন গঠন শৈলীতে সমৃদ্ধ। অসম্ভব হৃদয়গ্রাহী রমেশ শীলের সৃষ্টি এ সকল অমূল্য মাইজভান্ডারী গান।
তার সকল রচনায় প্রেম,ভক্তি, ভাব, নিবেদন,আবেদন, বিনয়,সমর্পণ, স্বপ্ন, মুক্তি, উপদেশ, বিচ্ছেদ, বিরহ, যন্ত্রণা, আকুতি বিবিধ আবেগে ভরপুর। তার এ সকল গানে আমরা পাই বহুবিধ বিশেষণ, যেমন মাইজভান্ডার ভাবের ভান্ডার, ভক্তির ভান্ডার, সুরের ভান্ডার, রসের ভান্ডার, দয়ার ভান্ডার, গুণের ভান্ডার, ধনের ভান্ডার, প্রেমের ভান্ডার, মায়ার ভান্ডার, জ্ঞানের ভান্ডার, সাধনার ভান্ডার, রূপের ভান্ডার, রসিকের ভান্ডার, আশেকের ভান্ডার, বিশ্বাসের ভান্ডার, ভক্তের ভান্ডার, তালের ভান্ডার, শ্লীলের ভান্ডার, স্বপ্নের ভান্ডার কত কি। রমেশ শীলের সকল মাইজভান্ডারি গানের ভাব, মর্ম সর্বোত্তম শব্দে, অর্থে বিবিধ অভিধায় পরিপূর্ণভাবে পরিস্ফুটিত। তার নিম্নোক্ত গানটি ভাবতত্ত্বে, দেহতত্বে, সুফীতত্ত্বে, আধ্যাত্মিকতার পরিপূর্ণ আবহে, সাধনতত্বে, বাউল সাধনায় এক অনুপম উজ্জ্বল উদাহরণ ঃ–
মাঝি ত্রিবেণীর ঘাটেরে জোয়ার ধরে যাইও
ভান্ডারীর বর্জকে তরী ধীরে ধীরে বাইও॥
প্রথম ঘাট নাছুতের বাজার হুশিয়ারে রইও
সে ঘাটে ডাকাইতের মেলা
মূল হারাইবা চাইও॥
তারপরে মলকুতের শহর দিশার ঠিক রাখিও
ডানে বায়ে চন্দ্র সূর্য মধ্য দি চলিও॥
যবু্রতে বাতাসের খেলা বাদাম উঠাই দিও
নিলক্ষ্যের বাক দৃষ্টি করি ছুপানটি ধরিও॥
রমেশ কয় লাহুতের ঘাটে দিদারে পৌঁছিও
পীর মুরীদে এক রঙ ধরি আনন্দে কাটাইও॥
এই জোয়ার ধরি শব্দের– বহুবিধ অর্থেরও বিচ্ছুরণ ঘটেছে। এই গানে ত্রিবেণীর ঘাট, নাছুতের বাজার, মলকুতের শহর, যব্রুত, লাহুতের ঘাট, শব্দগুলির ব্যবহারে গানটির গাঁথুনিতে জ্ঞান, সাধনা ও প্রজ্ঞার এক অপূর্ব সমন্বয় ও ভাবের উন্মেষ ঘটেছে। যা আকর্ষন করেছে ধর্ম বর্ণ ভেদে সকল মানব হৃদয়কে।
আমরা লক্ষ করি একই ভাব লালন সাঁইজীর সৃষ্টিতে।
‘লালন’ প্রচলিত বাঙলা ভাষায় ব্যবহৃত একটি সংস্কৃত বা তৎসম শব্দ। সংস্কৃত ‘লল‘ ধাতুর সংগে ‘ অন‘ প্রত্যয় যোগে গঠিত নাম থেকে পদ( লল+অন) ‘লালন‘ শব্দের অর্থ হচ্ছে সযত্নে পালন। আবার বাঙলা ‘লন‘ (অর্থাৎ গ্রহণ বা ধারণ) এর পূর্বে আরবি ‘লা‘(নঞতার্থক অব্যয়) উপসর্গ যুক্ত হয়ে নিষ্পন্ন শব্দ ‘ লালন‘ বলতে বোঝায় মহাকাশ বা মহাশূন্যরূপী ‘লা‘ বা ‘না’ কে যিনি গ্রহন বা ধারণ করেন তিনিই মহামহীম ‘লালন‘ অর্থাৎ যিনি ‘ লা‘(অর্থ না) বা পরম প্রভুর পূর্ণ গুণরাজি অর্জন বা ধারণ করেন তিনিই ব্রম্মরূপী লালন।
লালন একটি মহানাম, একটি মহাভাবনা এবং একটি দর্শন। লালন অনুপম সুর ও বাণীতে মানব মুক্তির এক মহান ও মোক্ষম দর্শন প্রচার করেছেন যা শ্রবণে, মননে, ও অনুধাবনে সাধক চিত্তে উচ্চাঙিক মহাভাবের উদয় ঘটায়। এ পথেই আমরা ভব থেকে অনুভবে কিংবা অভাব থেকে ভাবে উত্তীর্ণ হই সাধুসংগ বা সংগীতের স্বর্গীয় পরশে।এমন অপার্থিব শুদ্ধ প্রেমের আবির্ভাবেই সাধক দেহ মনের ক্ষুদ্র আমি মহা আমিতে সমর্পিত হ্য়।
লালন আমাদের কাছে অজানা অচেনা ছিল। সুফী সদরুদ্দিন আহমেদ চিশতির কৃপাতে লালনের সাম্যক পরিচয় উন্মোচিত হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ছেউঁরিয়া গ্রামের কালীগঙা নদীতে ১৭৯০ খ্রীষ্টাব্দ মোতাবেক বাঙলা ১১৯৭ সনের ফাল্গুন মাসের দোল পূর্ণিমার দিন ভোর বেলায় বসন্ত রোগে আক্রান্ত কাহি মৃৎবত অবস্থায় ফকির ‘লালন’ মোমিন বা কারিগর সম্পাদয়ের মধ্যে মানব ধর্ম দর্শনের পরম অবতার রূপে বাঙলার জমিনে বাঙালির উদ্ধারকর্তা হিসেবে (পতিত পাবন) আবির্ভূত হন। হাফিজ মাওলানা মলম শাহ তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন।
লালন যে কেবল বিশ্বশ্রেষ্ঠ বাউলই নয়, অন্যতম দার্শনিকও। তার দর্শন তত্ত্ব সেই ছেউঁরিয়া অঞ্চল ছেড়ে দেশের সীমানা ডিঙিয়ে আজ পৃথিবীর আনাচে কানাচে পৌঁছে গেছে। লালনের ব্যবহৃত অর্থ, বাণী, সুর এখন বাঙালি বাউল থেকে বিশ্ব বাউলদের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশ্বমানবতার হৃদয় মাঝারে প্রবেশ করেছে।
লালন সাঁই এবং রমেশ শীল দুজনই মূলতঃ পুঁথিগত বিদ্যায় একজন অশিক্ষিত অন্যজন পঞ্চ শ্রেণী পর্যন্ত পড়া। তাঁদের বিস্ময়কর রচনা দৃষ্টে ও পাঠে মনে হয় কত বড় জ্ঞানগর্ভে সমৃদ্ধ ছিলেন তাঁরা। সকল লালন সমগ্র, সংকলন, সম্পাদনা ও সংকলিত ৮৬০ টি গানের কমপক্ষে ২৫টিতে লালন ‘ত্রিবেণীর ঘাট’ এর উল্লেখ করেছেন। বহুবিধ অর্থে, তত্ত্বে, ব্যঞ্জনায়, ভাবে এ সকল গান বহুমাত্রিক বিশ্লেষণের দাবিদার। যেমন লালন লিখেছেন–
১। ত্রিবেনীর ত্রিধারা বয় ধারা চেনে তাকে ধরতে হয়
কোন ধারায় তার সদাই বিহার হচ্ছে ভাবের ভুবনে
২। পথের নাম ত্রিবেণীর ঘাট বাঘে সর্পে ঘিরে আছে বাট
রসিক জনা ঘাটের লাট মহামীন আসে তার সাথে।
৩। ত্রিবেণীর পিছল ঘাটে, নিঃশব্দে বন্যা ছোটে
চাঁদ চকোরে ভাটার ছোটে বাঁধ ভেঙ্ে যায় তৎক্ষণাৎ।
৪। প্রেম রত্ম ধন পাওয়ায় আশে ত্রিবেণীর ঘাট বাঁধলাম কষে
কামনদীর এক ধাক্কা আসে কেটে যায় বাঁধন ছাদন।
৫।মনিপুরে মনোহারী নল, ত্রিবেণীতে আছে বাঁকা কল
মাকড়ার আঁশে বন্দী হল
লালন বলে কেউ বুঝে কেউ পড়ে ফেরে॥
৬। মন চোরারে ধরবি যদি মন, ফাঁদ পেঁতে বস ত্রিবেণে
অমাবাস্যায় পর পূর্ণিমাতে বারামা দেয় সেখানে।
৭। যে পেয়েছে সে বুঝেছে অমৃত ফলের চাকা
তারে বর্তমানে সাধন কয় ত্রিবেণীতে পাবে দেখা॥
৮।শুনেছি ত্রিবেণীর ঘাটে আজগুবি এক ফুল ফোটে।
সে ফুল থাকে মায়ের পেটে রসিক ধরে ফুল প্রেম ডুরিতে।
৯। শ্রী গুরুর রূপ আশ্রিত যারা সব খবরের জবর তারা
লালন কয় অধর ধরা ফাঁদ পেতে ত্রিবেণী রয়।
১০। সবে বলে স্বরূপমনি থাক না বসে দ্বার ত্রিবেণী
লালন কয় সামাল ধনী, সে কিনারা।
ত্রিবেণী তত্ত্ব
ত্রি– তিন,তিন সংখ্যা,তিন সংখ্যক।
বীন– বীণা বা বাদ্যযন্ত্র ।
বীন–ফুটা,রন্দ্র ছেদা বা ফোঁড়া ।
ত্রি+বীন– ত্রিবীণ বা ত্রিবেণী ।
সাধারণত তিনটি স্রোতের মিলন স্থলকে বাঙলায় ত্রিবেণী বলা হয়। আধ্যাত্মিক সংজ্ঞায় ও বাঙালীর শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরানে নারীর জননেন্দ্রীয় বা জরায়ুমুখকে রূপকার্থে ভূগু বা ত্রিবেণী বলা হয়।
শাস্ত্র বলে, যে কোন ত্রিধারার মিলনকে ত্রিবেণী বলা হয়।
হিন্দু তত্ত্বে ভারতের উওর প্রদেশের এলাহাবাদের বা প্রয়াগের গঙ্গা, যমুনা ও স্বরস্বতীর মিলন স্থানটি সনাতনী বা হিন্দুদের পবিত্র স্থান মনে করা হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সপ্তগ্রামে অবস্থিত ত্রিবেণী নগরী, আবার বাংলাদেশের পদ্মা, যমুনা, মেঘনার মিলনস্থান চাঁদপুরকও ত্রিবেণী বলেন অনেকে ।
দেহতত্ত্বে ইড়া, পিঙলা ও সুসুষ্মাকে ত্রিবেণী বলা হয় । মেরুদন্ডের বামদিকের ইড়া নাঁড়ী, দক্ষিন দিকের পিঙলা নাঁড়ী ও মধ্য ভাগে সুসুষ্মা নাঁড়ীর অবস্থান। বাঙলার লোকসংগীতে আধ্যাত্মিক ও বাউল সাধনায় এই ত্রিবেণীর মিলনস্থান ও প্রবাহকে বিভিন্নভাবে বিশেষায়িত করা হয়েছে। যেমনঃ শ্রীরূপ,নদী, সিন্ধু, রূপ সাগর ইত্যাদি। মূলধারার চক্রে ও মিলনস্থানকে বলা হয়েছে ত্রিবেণী।
আবার একমাত্র নারীর জরায়ুমুখ থেকে লাল, সাদা,কালো বা রজঃ, সুধা, মধু এই তিন তিনটি ধারা প্রবাহিত হয়। তাই বিখ্যাত দোতারা যন্ত্রের স্রষ্টা, বহু গানের গীতিকার সুরকার কানাই লাল শীল তার একটি গানে ত্রিবেণীর দিকে ঈশারা করে বলছেন–
‘নদীতে জোয়ার হয় যখন
তিন প্রকারের পানি আসে লাল কালা সাদা বরণ’।
বৌদ্ধ তত্ত্বের ললনা, রসনা ও প্রজ্ঞা এই তিনটির মিলনকে ত্রিবেণী বলা হয়েছে।
অন্যদিকে সুফীতত্বে,
১. সহজ আত্মসমর্পণ, ২. আল্লাহ জিকির ও স্মরণ, ৩. সেবা বা খিদমত এই তিন কর্মকে ত্রিবেণী বলা হয়েছে। অন্য কোন ব্যখ্যায় এর গুরুত্ব নেই। আবার কেউ কেউ দুই ভ্রু ও নাকের সংযোগ বা কপালের সিজদার স্থানকে ত্রিবেণী ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
এখানে অদ্যাবধি দীর্ঘ আলোচনায় দেখা যায় বিশেষতঃ সুফি তত্ত্বে বাউল, আধ্যাত্নিক ও লোক সংগীতের সাধনার যেরূপ তাতে গুরু, মুর্শিদ, সাঁই, স্রষ্টা, ঈশ্বর, খোদা আল্লাহ, অধরা, খোদাতে সমপর্ণ, সৃষ্টির মহিমা, ইহকাল, পরকাল, জন্ম–মৃত্যু, পাপ পূণ্য, ব্যাখ্যা ও সমর্থনে সুফী তত্ত্বের ধারায় লালন ও রমেশ অসাধারণ ও চৌকষরূপে উপস্থাপন করেছেন এবং ভাব ও ভাষা ও অনুভূতি নিপূন ও অতাশ্চার্য্য ভাবে প্রকাশ করেছে তাঁদের রচনায়।
আবার আধ্যাত্নিক তত্ত্বে, দেহ তত্ত্বে, বাঙ্গালি তত্ত্বে, বৌদ্ধ তত্ত্বে, হিন্দু তত্ত্বে ত্রিবেণীর ব্যাখ্যায় ও ধারণা সব মূলে এক বলে অনুমেয় হয়ে। সূফী তত্ত্ব সত্য ও সুন্দর। সুফী তত্ত্বকে দেহ তত্ত্ব বলে, কারণ যা আছে বিশ্ব ব্্রহ্মান্ডে তা আছে দেহ ভান্ডে। তাই প্রতিটি তত্ত্বই দেহকে কেন্দ্র করে। আর একটা কারণ হল সৃষ্টি কর্তার বসবাস হলো এই মানব দেহ মাঝে। সাহিত্যে রামপ্রসাসদ সেন, দীনবন্ধু মিত্র তার ‘সুরধ্বনি’তে, কবি সত্যন্দ্রনাথ দত্ত তার গ্রন্থ ‘আমরা’তে ‘শ্রীমদ বৃন্দাবন দাস ‘চৈতন্যভাবগতে’ ত্রিবেণীর উল্লেখ করেছেন।
আবার ইতিহাস বলে ত্রিবেণী একটি জনপদের ইতিহাস। বহু সভ্যতার ইতিহাস জড়িয়ে আছে এই ত্রিবেণীর ঘাটে। তার স্বাক্ষী শ্রোতস্বিনী গঙ্গা যার অবস্থান পশ্চিমে বঙ্গের সপ্তগ্রামের নিকট ত্রিবেণী নগরী। রমেশ শীলর একটি গানের প্রতি পরতে পরতে যেন লালন সাঁইজীর ত্রিবেণীর ঘাট কখনো সুপ্ত কখনো বিকশিত, উদ্ভাসিত আধ্যাত্নিক তত্ত্বে, দেহ তত্ত্বে, বাঙ্গালি তত্ত্বে, বৌদ্ধ তত্ত্বে, হিন্দু তত্ত্বে আধ্যাত্মিকতায় ও সুফী তত্ত্বের এই ত্রিবেণী ঘাট।
স্বরূপে উদ্ভাসিত শুধু রমেশ শীল বা লালন সাঁইজী নয় সকল আধ্যাত্মিক সাধক যেমন হাছন রাজা, সীতালং শাহ, আরকুম শাহ, রকিব শাহ, দুরবীন শাহ, পাঞ্জু শাহ, দুদ্দু শাহ, শাহ আব্দুল করিম, বাউল দীন শরৎ, কালা শাহ, কালু শাহ, কফিল উদ্দিন সরকার, মাওলানা আব্দুল হাদি, কাঞ্চনপুরী, মওলানা আবুল খায়ের, মাওলানা বজলুল করিম মন্দাকিনি, প্রভৃতির লেখায় ত্রিবেণীর উল্লেখ নিবিড় ভাবে ও বিনয়ের সাথে পরিলক্ষিত হয়।
লেখক : সংগীতশিল্পী ও গবেষক।