রমজান উপলক্ষে যানজট নিরসন ও সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সিএমপির ট্রাফিক–দক্ষিণ বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন। গতকাল বুধবার যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ মালিক–শ্রমিক সমিতি, ব্যবসায়ী সমিতি, মার্কেট ও দোকান মালিক সমিতি, হোটেল–রেস্তোরাঁ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও থানা পুলিশের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব নির্দেশনা দেন। নির্দেশনাগুলো হচ্ছে–নিউ মার্কেট, টেরীবাজার, বক্সির হাট, রেয়াজউদ্দির বাজারসহ বড়–ছোট সকল মার্কেট ও শপিংমল কেন্দ্রিক যানজট নিরসনের লক্ষ্যে রাস্তা ও মার্কেটের সামনে পার্কিং করা যাবে না। মেইন রোড কেন্দ্রিক মার্কেটসমূহের সম্মুখ রাস্তার প্রবেশ পথ নিজস্ব জনবল দিয়ে পরিস্কার রাখা ও আগত যানবাহনে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। রিক্সা–সিএনজি অটোরিক্সা ও হকার মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। রাস্তা দখল করে দাঁড়ানো কিংবা ডাবল লাইনে পার্ক করা যানবাহন অপসারণ করা হবে। সকল গুরুত্বপূর্ণ ফুটপাতে পথচারীদের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ভাসমান দোকান–পাট অপসারণ করা হবে। দিনের বেলায় ভারী যানবাহন রাস্তার পাশে রেখে দোকান বা মার্কেটের মালামাল লোড–আনলোড থেকে বিরত থাকতে হবে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে গড়ে উঠা অবৈধ দোকান–পাট অপসারণ করতে হবে। সড়কের মূল পয়েন্টে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠা–নামা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমতল ও নিউমার্কেট থেকে চলাচলকারী অটো টেম্পো, বাস ও মিনিবাসসমূহের সুশৃঙ্খল চলাচল নিশ্চিত করতে হবে এবং এ এলাকা ভাসমান হকারমুক্ত রাখা হবে। শাহ আমানত মার্কেট সংলগ্ন আমতল মোড় ও আশপাশের এলাকাসমূহে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী রিক্সা, সিএনজি অটো রিক্সা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি ও মোটর সাইকেল দাঁড়ানো যাবে না। স্টেশন রোডে রেয়াজউদ্দিন বাজার ও গোলাম রসুল মার্কেটের প্রবেশ মুখে সবজি, ফলমূল ও অন্যান্য পণ্যদ্রব্য সকাল ৮টার মধ্যে লোড–আনলোড করতে হবে। ব্যবসায়ী সমিতি কর্তৃক রাস্তার পাশে অবৈধ দোকান–পাট উচ্ছেদপূর্বক ফুটপাত ও সড়কে নিরবচ্ছিন্ন চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। যানবাহন চলাচলের সকল রাস্তায় সংশ্লিষ্ট সমিতির নিজস্ব লোকবল দিয়ে হকারমুক্ত রাখতে হবে। স্টেশন রোডস্থ ফুটওভার ব্রিজের পাশের রেলওয়ের খািল জায়গায় গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। বক্তব্যে এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, মার্কেট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অবশ্যই বিকল্প পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা ও নিজস্ব পার্কিং প্লেস পূর্ণ হলে তা ডিসপ্লে করতে হবে। রাস্তার উপর কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। পবিত্র রমজান মাসে ট্রাফিক পুলিশকে যানজট নিরসনে সহায়তা করার জন্য মার্কেট কমিটি কর্তৃক পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী ও ভলান্টিয়ারদের জ্যাকেটসহ নির্দিষ্ট পোশাককের ব্যবস্থা করতে হবে। ট্রাফিক বিভাগের সাথে সমন্বয় ও যোগাযোগ করার জন্য মার্কেট কর্তৃপক্ষের ফোকাল প্রতিনিধি নির্ধারণ করতে হবে। যেসব মার্কেটের পার্কিং স্থান ব্যবহৃত হয় না সে সকল পার্কিং স্থান খুলে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে এবং মার্কেটের সম্মুখ রাস্তা বা প্রবেশপথ নিজস্ব জনবল ধারা পরিস্কার রাখাসহ আগত যানবাহনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন এডিসি (ট্রাফিক–দক্ষিণ) আকরামুল হাসান, এসি (ট্রাফিক–দক্ষিণ) মো. মারেফুল করিম, নিউমার্কেট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সগির, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ, মেট্রোপলিটন পরিবহণ মালিক গ্রুপের মহাসচিব মো. জিয়াউদ্দিন শরীফ, আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সদস্য ফয়েজ আহমদ ও সদরঘাটের ওসি ফেরদৌস জাহান, টিআই (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম, টিআই (কোতোয়ালী) অনিল বিকাশ চাকমা, টিআই (আন্দরকিল্লা) মো. জিয়াউল হাসান, টিআই (বাকলিয়া) অপূর্ব পাল, টিআই (সদরঘাট) মো. মুহিবুর রহমান, কোতোয়ালী পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরমান হোসেন, পিআই (কোতোয়ালী) এবিএম মিজানুর রহমান ও বাকলিয়া পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুর রহমান।