রমজানের আগে কমছে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে সরবরাহ, মজুদ পর্যাপ্ত

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজার

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘদিন ধরে ওঠানামা করছিল ভোগ্যপণ্যের বাজার। তবে বর্তমানে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে সরবরাহ বাড়ার কারণে প্রায় সব ধরণের পণ্যের দাম নিম্নমুখী রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে চলতি বছর গত বছরের তুলনায় আমদানি কমেছে এটি ঠিক। তবে রমজান উপলক্ষে যারা পণ্য

 

আমদানিতে এলসি (ঋণপত্র) খুলেছেন, তাদের পণ্য বাজারে আসা শুরু হয়েছে। বর্তমানে কোনো পণ্যের সংকট নেই। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর গুদামে পর্যাপ্ত ভোগ্যপণ্য রয়েছে।

গতকাল খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মসুর ডালের দাম কেজিতে ২ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া মটর ডালের দাম কেজিতে ৩ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬১ টাকা, অস্ট্রেলিয়ান ছোলা কেজি প্রতি ৪ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা,

ভারতীয় ছোলা কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ৬ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা, চীনা রসূন কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৫০ টাকা এবং চীনা আদা কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। এছাড়া এলাচের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছ ১

হাজার ৪১০ টাকা, লবঙ্গ কেজিতে ২৫ টাকা কমে ১ হাজার ৩৪০ টাকা, জিরা ৩০ টাকা কমে ৫৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে পাম তেলের দাম মণপ্রতি ৪০ টাকা কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মণপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৩৮০ টাকায়। জানতে

চাইলে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, সরবরাহে ঘাটতি থাকার কারণে এতদিন সব ধরণের ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়তি ছিল। তবে এখন বাজারে রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা পণ্য গুদামজাত করতে শুরু করেছেন। অনেকের

আমদানি পণ্য বন্দর থেকে খালাসের অপেক্ষায় আছে। যদিও এ বছর আমদানি কিছুটা কম হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত পণ্য রয়েছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, আমাদের দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার পুরোপুরি ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাইকারিতে পণ্যের দাম নিম্নমুখী হলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়তে সময় লাগে। তাই পাইকারিতে দাম কমার

সরাসরি সুফল সাধারণ ভোক্তারা পান না। কিন্তু দেখা যায়, কোনো পণ্য পাইকারিতে দাম বাড়লে খুচরা ব্যবসায়ীরা সাথে সাথে দাম বাড়িয়ে দেন। তাই প্রশাসনকে নিয়মিত বাজার করতে হবে। যাতে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজির মাধ্যমে দাম বৃদ্ধি করে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম জেলায় পাবে ১৩ লাখ ৪০ হাজার শিশু
পরবর্তী নিবন্ধছাত্রদের আন্দোলনের প্রস্তুতির তীব্রতা দেখে ১৪৪ ধারা জারি