আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ ও জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের দুরবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর কাট্টলীস্থ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের এক সভায় তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যমণ্ডিত আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদটি সাড়ে ৩শ বছরের পুরনো।
জুমাসহ প্রতিদিন এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার হাজারো মুসল্লি। শুধু স্থাপত্য নিদর্শনেই নয়, শৈল্পিক দিক থেকেও আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ উল্লেখযোগ্য। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় এই যে অনাদর ও অবহেলায় মসজিদটির আজ জরাজীর্ণ অবস্থা। ছাদের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ফলে যে কোনো সময় নামাজরত মুসল্লিরা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। পাশাপাশি নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত টয়লেট মুসল্লিদের ইবাদতে বাধা সৃষ্টি করছে। তাই অতিসত্বর মসজিদটির সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আগামী রমজান মাসের পূর্বেই মসজিদ দুটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে নামাজ এবং ইবাদত বন্দেগীর উপযোগী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। পাশাপাশি মসজিদ দুটির ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সকল প্রকার বাণিজ্যিকরণ বন্ধের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন সুজন।
নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ এবং সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রুহুল আমিন তপন, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, নুরুল কবির, সমীর মহাজন লিটন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম. ইমরান আহমেদ ইমু, মো. শাহজাহান, জাহাঙ্গীর আলম, শহীদুল আলম লিটন, মো. ওয়াসিম, মনিরুল হক মুন্না প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
