রমজান আসার আগেই পাইকারিতে বেড়েছে খেজুরের দাম। আমদানি কম হওয়ায় গত রমজানের তুলনায় প্রায় সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। আমদানিকারকরা বলছেন, সাধারণত অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজান মাসে খেজুরের চাহিদা বাড়ে কয়েকগুণ। আর আমাদের
দেশে খেজুরের বাজার শতভাগ আমদানি নির্ভর। সম্প্রতি ডলারের দাম বৃদ্ধি এবং ডলার সংকটের কারণে আমদানির পরিমাণ গত বছরের চেয়ে এ বছর কম হয়েছে। তাই দামও বাড়তি। তবে ভোক্তাদের দাবি, রমজানে খেজুরের চাহিদা বাড়ে। এই বাড়তি চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দাম বৃদ্ধি করেন।
এদিকে খাতুনগঞ্জের খেজুরের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে দুবাইয়ের ফাইভ স্টার খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়, ইরাকের জাহেদী খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, তিউনিশয়ার খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়, সৌদি আরবের মরিয়ম খেজুর বিক্রি
হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, মরক্কোর মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, সৌদি আরবের আঁজোয়া খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়, দাবাস খেজুর ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং ফরিদা খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
খাতুনগঞ্জের মেসার্স আল মদিনার স্বত্বাধিকারী এহসান উল্লাহ জাহেদী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ডলারেরর মূল্য বৃদ্ধির কারণে খেজুরে আমদানি খরচ বেড়েছে। এর সাথে বিভিন্ন ধরণের ট্যাক্স ও ভ্যাট তো আছেই। তাই স্বাভাবিকভাবে গত বছরের তুলনায় এ বছর খেজুরের দাম বাড়তি। রমজানে ইফতারিতে খেজুরের চাহিদা বাড়ে। তবে আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, বাজারে খেজুরের ঘাটতি নেই।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, যখন কোনো একটি পণ্যের চাহিদা বাড়ে তখন সেই সুযোগটি ব্যবসায়ীরা নিয়ে থাকেন, এটি নতুন কিছু নয়। এটি সব ধরণের ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। রমজান মাসে খেজুরের
চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা পণ্যটি দাম প্রতি রমজানে বাড়িয়ে ফেলেন। ব্যবসায়ীদের আসলে অজুহাতের শেষ নেই। এখন বাজার তদারকির দায়িত্ব প্রশাসনের। প্রশাসন আমদানি মূল্যের সাথে বিক্রি মূল্যের হিসেব দেখলেই প্রতি কেজিতে টাকা মুনাফা হচ্ছে, সেটি দেখতে পারবেন।