রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সম্মেলন

| রবিবার , ১৪ মে, ২০২৩ at ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার সম্মেলন গতকাল শনিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুপম সেন বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ নামটি গেঁথে রয়েছে। কবি নজরুল, জসীম উদ্দিন, জীবনাননন্দ দাশ, সুকান্ত ভট্টচার্যসহ আরো অনেক কবির মধ্যে সবার ওপরে তাঁর (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) নামটি ঝলঝল করছে।

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ‘জাগজাগ রে জাগ’ সঙ্গীতচিত্ত অম্বর কর তরঙ্গিত/ নিবিড়নন্দিত প্রেমকম্পিত হৃদয়কুঞ্জ বিতানে’ সম্মেলক গানের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয়।

অনুপম সেনের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পরিষদের সহসভাপতি শিল্পী বুলবুল ইসলাম, ফুলকির অধ্যক্ষ শীলা মোমেন, লেখিকা ফেরদৌস আরা আলীম, অধ্যাপক রীতা দত্ত, অধ্যাপক একিউএম সিরাজুল ইসলাম। ফারহানা আনন্দময়ীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার সদস্য সচিব ও শিল্পী শ্রেয়সী রায়। সম্মেলনে অনুপম সেনকে সভাপতি ও শ্রেয়সী রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সম্মেলনের উদ্বোধক পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সরওয়ার আলী উপস্থিত হতে পারেননি। তবে তাঁর পাঠানো লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য। বক্তব্যে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন বহুমাত্রিক অতুলনীয় প্রতিভা। তিনি একাধারে কবি, গীতিকার, সুরকার, সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক। শেষজীবনে শিরোনামহীন চিত্রকর্মেও মনোনিবেশ করেছেন। সুতরাং তাঁকে সামগ্রিকতায় ধারণ করার দীর্ঘ আলোচনা অনুচিত কর্ম বিবেচনা করি। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ রাঙামাটি শাখা। এরপর দুপুরে শুরু হয় প্রতিনিধি সভা। সন্ধ্যায় শুরু হয় শ্রেয়সী রায়ের গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও সংগীত পরিচালনায় গীতি আলেখ্য ‘রবির আলো’। এতে নৃত্য পরিচালনা করেন ওড়িশি নৃত্য শিল্পী প্রমা অবন্তী। এরপর একক সংগীত পরিবেশন করেন বুলবুল ইসলাম ও শ্রেয়সী রায়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবারো ভোটারবিহীন নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে চায় আ. লীগ
পরবর্তী নিবন্ধঘূর্ণিঝড় মোখা সতর্কতায় উপকূলীয় এলাকাবাসীর পাশে সুজন