শিশুসাহিত্য–সংস্কৃতি ও শিশুস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘শিশুবিশ্ব’–এর রবীন্দ্র–নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বাংলাসাহিত্য ও শিল্প সংস্কৃতির দুই মহান পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম। রবীন্দ্রনাথের জন্মের ৩৮ বছর পরে নজরুলের জন্ম হলেও সাহিত্য, সঙ্গীত এবং সংস্কৃতির অন্যান্য ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ যে ধারা তৈরি করেছিলেন তার সেই দাপুটে যুগে জন্ম নিয়েও নজরুল সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের ধারায় তার লেখা উপহার দিতে পেরেছিলেন। তাঁদের স্পর্শ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখাকে ঋদ্ধ করেছে। তাঁদের কর্ম ও রচনাসমগ্র বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির ভাণ্ডারকে বিশ্ব দরবারে মহান উচ্চতায় নিয়ে যাবার পাশাপাশি বাঙালির চিন্তা, মনন, আবেগ এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক বোধকে আলোড়িত, শাণিত করে। তাঁরা আমাদের নিত্যসঙ্গী, আমাদের আশ্রয়।
গতকাল শুক্রবার সকালে মোমিন রোডস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘শিশুবিশ্বের’ সভাপতি প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুসাহিত্যিক সাংবাদিক রাশেদ রউফ। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী আইরিন সাহা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বায়েজিদ মডেল স্কুলের সভাপতি মো. মাজহারুল হক ও রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তরুণ কান্তি বড়ুয়া। আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হলো উঠোন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আবৃত্তিশল্পীদের বৃন্দ আবৃত্তির মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্বে আরো ছিলেন বোয়ালখালী হাজী নুরুল হক ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক পিংকু দাশ, গল্পকার রুনা তাসমিনা, কবি তানজিনা রাহী, আবৃত্তিশিল্পী শামীমা আক্তার, লেখক শিক্ষক শর্মিষ্ঠা চৌধুরী, আবৃত্তিশিল্পী গোপা ত্রিবেদী, স্মৃতিলতা পাল, ঊর্মি রায়, শুক্লা মজুমদার, সাবিনা সুমি, আয়মান রউফ, নাজওয়া সুহায়মা, ছড়াকার গৌতম কানুনগো, শিশুসাহিত্যিক লিটন কুমার চৌধুরী, লেখক বিভাষ গুহ, সংগঠক কানিজ ফাতেমা লিমা প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।