ত্রিকালদর্শী দিব্যচোখ কবিও করেন ভুল,
তার নিদারুণ উদাহরণ রবীন্দ্রনাথ।
সেরা বাঙালি হয়ে ধরলেন দোষ বাঙালির!
কী করে লিখলেন, পরাধীনতার গ্লানি জর্জরিত
স্বদেশবাসীকে তাতানো
কলিম শরাফীর ভরাট কন্ঠশ্রুত নির্মম গান–বাণী–
‘কেন চেয়ে আছ গো মা, মুখপানে।
এরা চাহে না তোমারে চাহে না যে,
আপন মায়েরে নাহি জানে।
এরা তোমায় কিছু দেবে না, দেবে না
মিথ্যা কহে শুধু কত কী ভানে।’
তার্কিক, কোন্দলী, পরশ্রীকাতর,
আলস্যপ্রিয়, ভীতু–নানা অপবাদ ভূষিত বাঙালি।
‘জয় বাংলা’ শপথ উত্তাপ আত্মাহুতিতে
দিলে বজ্রকঠিন সমুচিত জবাব
একাত্তরের চিঠি’র জ্বলজ্বল রক্তাক্ষরে রণাঙ্গনে।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের রেসকোর্স ময়দানে
তার প্রতিধ্বনি, বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী উচ্ছল উচ্চারণ–
‘ সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী
রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি।’
কবিগুরুর এ কথা আজ মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছি
আমার বাঙালি আজ মানুষ। আমরা আজ স্বাধীন।