রনি-তাসকিন নৈপুণ্যে জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ২৮ মার্চ, ২০২৩ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

ওয়ানডে সিরিজে জয়ের পর গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়ে টিটোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল টাইগাররা। গতকাল চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ছিল বৃষ্টির চোখ রাঙানি। এক সময় বাংলাদেশের জয়টা কেড়ে নিতে চেয়েছিল বেরসিক বৃষ্টি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি। রনি তালুকদার আর লিটন দাশের ব্যাটিংয়ের পর তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিং বাংলাদেশকে পাইয়ে দিয়েছে দারুণ এক জয়।

বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের জয়টা ২২ রানের। রনি তালুকদারের হাফ সেঞ্চুরির চেয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে তাসকিন আহমেদের ৪ উইকেট।

জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার লিটন দাশ এবং রনি তালুকদার মিলে ৭.১ ওভারে গড়ে ফেলে ৯১ রানের বিধ্বংসী এক জুটি। মাত্র ২৩ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কা মারেন লিটন তার ইনিংসে। এর আগে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৮১ রান তোলে বাংলাদেশ। যা টিটোয়েন্টিতে বাংলাদেশের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল ৭৬ রানের। লিটন আর শান্ত আউট হয়ে গেলেও রনি তালুকদারের বিধ্বংসী ব্যাটিং অব্যাহত ছিল। মাত্র ২৪ বলেই হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৬৭ রানে আউট হয়ে যান ডানহাতি এই ব্যাটার। তার ঝড়ো ইনিংসে ৭টি চারের পাশাপাশি ছক্কার মার ছিল ৩টি। শামীম হোসেন পাটোয়ারী ২০ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ৩০ রান করে আউট হন। এরপর বড় কোন জুটি গড়ে উঠেনি বাংলাদেশের। তবে সবাই চেষ্টা করেছে দলে অবদান রাখার। তাওহিদ হৃদয় ৮ বলে এক ছক্কায় করেন ১৩ রান। এরপর সাকিব আল হাসান ১৩ বলে ২০ রানে এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ১ বলে ৪ রান করার পরই বৃষ্টি নামে। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রান। টিটোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ২১৫ টপকাতে তখন মাত্র ৮ রান দরকার। কিন্তু বৃষ্টি সে সুযোগটা দিল না।

প্রায় দুই ঘণ্টা ৩ মিনিট বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকার পর ডাকওয়ার্থ/ লুইস পদ্ধতিতে আয়ারল্যান্ডের জন্য লক্ষ্য নির্ধারিত হয়। ৮ ওভারে আইরিশদের সামনে লক্ষ্য দাড়ায় ১০৪ রানের। সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার যেন ঝড় তুলতে লাগলেন। নাসুম আহমেদের প্রথম ওভার থেকে ১৮ রান আর মোস্তাফিজের করা দ্বিতীয় ওভার থেকে আসে ১৪ রান। তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে প্রথম আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। তিনি তুলে নেন আইরিশ ওপেনার রস এডায়ারকে। পরের ওভারে তাসকিন আহমেদের আঘাত। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলে সরাসরি বোল্ড করেন লরকান টাকারকে। ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন অধিনায়ক পল স্টার্লিং। শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের দরকার ৩২ রানের। তাসকিন প্রথম বলে তুলে নেন টেক্টরকে। দ্বিতীয় বল থেকে কোনো রান নিতে পারলেন না ক্যাম্পার। তৃতীয় বল থেকে আসে এক রান। চতুর্থ বল থেকে আসে দুই রান। পঞ্চম বলটি ছিল নো বল। পরের বলে চার তুলে নেয় আয়ারল্যান্ড। শেষ বল থেকে একরানের বেশি নিতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। আর তাতেই ৮১ রানে থামে আইরিশদের ইনিংস। বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতে নেয় ২২ রানে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের সংবর্ধনা বর্জন মুক্তিযোদ্ধাদের
পরবর্তী নিবন্ধনোমান আল মাহমুদের চেয়ে স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ বেশি