রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ কাফকো ও সিইউএফএল

উৎপাদনে ফিরলে চট্টগ্রামে গ্যাস সংকটের শঙ্কা

আজাদী প্রতিদবেদন | শনিবার , ১৫ অক্টোবর, ২০২২ at ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে গ্যাসের সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা সার কারখানা কাফকো ও সিইউএফএল রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। এ কারণে কারখানা দুটিতে আপাতত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এ দুটি কারখানায় দৈনিক চাহিদা ৮০ মিলিয়ন ঘনফুট। উভয় কারখানা উৎপাদনে ফিরলে চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড আবাসিক ও শিল্প-কারখানায় সরবরাহ করছে মাত্র ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হলেও আবাসিক খাতে এখনো কোনো সংকট দেখা যায়নি। এই ব্যাপারে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক অপারেশন প্রকৌশলী আমিনুর রহমান আজাদীকে জানান, চট্টগ্রামে আমাদের চাহিদা যত এখন তার চেয়ে একটু কম পাচ্ছি। আমরা বর্তমানে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো পাচ্ছি। তবে বরাদ্দ আরো কিছু বাড়ানো হবে। তখন আমাদেরকে তেমন কোনো অসুবিধায় পড়তে হবে না। শিল্প-কারখানায় মাঝে মাঝে প্রেসার কিছুটা কম থাকলেও এখনো আমাদের চট্টগ্রামে তেমন সংকট নেই।
এ দিকে রক্ষণাবেক্ষণে থাকায় আপাতত কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) এবং চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) কারখানা দুটিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এই ব্যাপারে প্রকৌশলী আমিনুর রহমান বলেন, এই কারখানা দুটি গ্যাসের কারণে বন্ধ নেই। কাফকো এবং সিইউএফএল চালু হলেও চট্টগ্রামে তেমন গ্যাস সংকট হবে না। তখন গ্যাস সরবরাহ বাড়নো হবে। এখন চাহিদা না থাকায় সরবরাহ কিছুটা কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিদ্যুতের ক্ষেত্রে এখন শুধুমাত্র শিকলবাহা ছাড়া অন্য কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ নেই বলে জানান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক অপারেশন প্রকৌশলী আমিনুর রহমান।
পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটসহ গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রয়েছে। চট্টগ্রামে এখন বিদ্যুতের সবেধন নীলমনি হলো-কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গ্যাস নির্ভর সবগুলো কেন্দ্রে সরবরাহ করতে হলে তখনই চট্টগ্রামে গ্যাস সংকটের আশঙ্কা দেখা দেবে। এ দিকে গ্যাস সংকটের কারণে চট্টগ্রামের গার্মেন্টসগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ-র কর্মকর্তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবারৈয়ারহাট পৌর মেয়রসহ তিন যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
পরবর্তী নিবন্ধআলাদা ফিতে আপত্তি